আমোদ প্রতিনিধি।

কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার এই ঘটনা ঘটে। এ সময় অস্ত্রের মহড়া, গুলি বর্ষণ ও একটি মোটর মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেল ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হান্নান সোহেল কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা। ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ফখরুল ইসলাম রুবেল ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দা। দুইজনে ধর্মপুর এলাকায় সিমেন্টের ব্যবসা করেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নগরীর টাউনহলে জনসভার আয়োজন করে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ। সভাস্থলে আসার সময় আবদুল হান্নান সোহেল ও ফখরুল ইসলাম রুবেলের গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে একটি সিসি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়,দুইজন বন্দুক হাতে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয়রা তাদেরকে রুবেল ও চপল বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া সিসি টিভির ক্যামেরা ভাংতে দেখা যায় জনিকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান সোহেলের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, সোহেল বন্ধু রাসেলের মোটর বাইকে বাড়ি ফিরছিলো। পথে ফখরুল ইসলাম রুবেল, আবুল বাশার,জনি ও চপলসহ লোকজন পেছন থেকে তার উপর গুলি বর্ষণ করে। রুবেলরা তাদের মোটর বাইকটি পুড়িয়ে দেয়। রাসেলের পায়ে ও গালে গুলি লেগেছে। সোহেল ও তার চাচা আবদুল মতিনসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারা এই ঘটনা ঘটায়। সোহল বাহাউদ্দিন বাহার এমপির কর্মী। বাহার সাহেবের রাজনীতি করতে গিয়ে গুলিও খেয়েছিলো। রুবেলের পক্ষের যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম চপল বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে হাজী বাহার এমপির টাউন হলে ডাকা গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে আসার পথে ওর্য়াড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসারের উপর হামলা করে ইউপি মেম্বার সোহেল। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তার মোটর বাইক পুড়িয়ে দেয়।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জনসভা শেষ হলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।