বসুন্ধরাকে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনী
মহিউদ্দন মোল্লা।।
প্রকৃতির হাঁসফাঁস গরমকে ছাপিয়ে গেছে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর ফুটবল উত্তাপ। কুমিল্লা ধর্মসাগরপাড়ে অবস্থিত ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এই উত্তাপ উপভোগ করেছেন কুমিল্লার দর্শকরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে আবাহনী। প্রথম কোয়ালিফায়ারে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর সাদামাটা খেলা চলে প্রথমার্ধে। তারপর আলোচনায় আসে রেফারির কার্ড দেখানো। দুই দলের খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন। আবাহনীর আসাদুজ্জামান বাবলু পান লাল কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না কিংস। শেষ দিকে সমতা ফেরাল আবাহনী। এরপর রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালেও উঠে গেল আবাহনী।
টাইব্রেকারে আবাহনীর জাফর ইকবালের শট আটকান আনিসুর রহমান জিকো, কিন্তু তিনি পরে পরাস্ত হন রাফায়েল আগুস্তো, এমেকা, সবুজ, মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে। টাইব্রেকারে গোল করেন কিংসের জোনাথন ফের্নান্দেস ও শেখ মোরসালিন। রাব্বি হোসেন রাহুলের তৃতীয় শট ডান দিক ঝাঁপিয়ে আটকান মিতুল। এরপর দেসিয়েলের শট উড়ে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
প্রচ- গরমে দুই দলে খেলতে পারেনি নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল। ২৮তম মিনিটে প্রথম কুলিং ব্রেকের আগ পর্যন্ত তেমন কোনো আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ দেখা যায়নি। ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে কিংস। জোনাথন ফের্নান্দেসের ফ্রি কিকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দেসিয়েল এলিস দস সান্তোসের হেড আটকে আবাহনীর ত্রাতা গোলকিপার মিতুল মারমা। কুলিং ব্রেকের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় কিংস, কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা।
৪২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আবাহনী। ফাহিমকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বাবলু।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় রক্ষণের শক্তি বাড়াতে মিডফিল্ডার রবিউল হাসানকে তুলে ডিফেন্ডার শাকিল হোসেনকে নামান আবাহনী কোচ মারুফুল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭তম মিনিটে গোল তুলে নেয় কিংস। ফের্নান্দেসের লং বল দুই ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও শাকিলের কেউ ক্লিয়ার করতে পারেননি, তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া বল জনি ছুটে গিয়ে টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। ৭৫তম মিনিটে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কুলিং ব্রেক। এর খানিক পর ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। নির্ধারিত সময়ের তখন খেলা বাকি ছয় মিনিট। রাফায়েল আগুস্তোর ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফেরার পর বদলি নামা আরমান ফয়সাল আকাশ বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিখুঁত শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। বাকি সময়ে কেউ গোল না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়,ফ্রি প্যালেস্টাইন ব্যানার হাতে দর্শকরা গরমে বিরক্তির সময় কাটাচ্ছিলো। প্রথমার্ধে উত্তেজনাহীন খেলা দেখেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের দুই দলের পাল্টা গোল,অতিরিক্ত সময়ে গতির ফুটবল আর রুদ্ধশ^াস ট্রাইব্রেকার দেখে খুশি দর্শকরা।
বসুন্ধরা কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু বলেন, আমাদের টিম পুরো ১২০মিনিট ভালো খেলেছে। ফুটবল গোলের খেলা, আমরা ট্রাইব্রেকারে গোল পাইনি। এছাড়া আবাহনী ১০জনের দল হয়ে যাওয়ায় আমরা হয়তো একটু নির্ভার হয়ে পড়েছিলাম। এটা খেলারই অংশ। আমরা আশাবাদী আগামী খেলায় বসুন্ধরা ঘুরে দাঁড়াবে।
আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু বলেন, আমাদের ছেলেরা সময় মতো জ¦লে উঠেছে। বিশেষ করে ১০জনের দল হয়ে যাওয়ার পর তারা আরো গতি নিয়ে খেলেছে। ট্রাইব্রেকারে তারা সেরাটা দিয়েছে। তাই আমরা জয় পেয়েছি।
কুমিল্লা ধর্মসাগরপাড়ে ফুটবলের জমজমাট লড়াই
ফাইনালে আবাহনী
মহিউদ্দন মোল্লা,কুমিল্লা।।
প্রকৃতির হাঁসফাঁস গরমকে ছাপিয়ে গেছে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর ফুটবল উত্তাপ। কুমিল্লা ধর্মসাগরপাড়ে অবস্থিত ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এই উত্তাপ উপভোগ করেছেন কুমিল্লার দর্শকরা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে আবাহনী। প্রথম কোয়ালিফায়ারে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনীর সাদামাটা খেলা চলে প্রথমার্ধে। তারপর আলোচনায় আসে রেফারির কার্ড দেখানো। দুই দলের খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন। আবাহনীর আসাদুজ্জামান বাবলু পান লাল কার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে গিয়েও জিততে পারল না কিংস। শেষ দিকে সমতা ফেরাল আবাহনী। এরপর রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালেও উঠে গেল আবাহনী।
টাইব্রেকারে আবাহনীর জাফর ইকবালের শট আটকান আনিসুর রহমান জিকো, কিন্তু তিনি পরে পরাস্ত হন রাফায়েল আগুস্তো, এমেকা, সবুজ, মোহাম্মদ ইব্রাহিমের কাছে। টাইব্রেকারে গোল করেন কিংসের জোনাথন ফের্নান্দেস ও শেখ মোরসালিন। রাব্বি হোসেন রাহুলের তৃতীয় শট ডান দিক ঝাঁপিয়ে আটকান মিতুল। এরপর দেসিয়েলের শট উড়ে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
প্রচ- গরমে দুই দলে খেলতে পারেনি নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল। ২৮তম মিনিটে প্রথম কুলিং ব্রেকের আগ পর্যন্ত তেমন কোনো আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ দেখা যায়নি। ১৬ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে কিংস। জোনাথন ফের্নান্দেসের ফ্রি কিকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দেসিয়েল এলিস দস সান্তোসের হেড আটকে আবাহনীর ত্রাতা গোলকিপার মিতুল মারমা। কুলিং ব্রেকের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় কিংস, কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা।
৪২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আবাহনী। ফাহিমকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন বাবলু।
১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় রক্ষণের শক্তি বাড়াতে মিডফিল্ডার রবিউল হাসানকে তুলে ডিফেন্ডার শাকিল হোসেনকে নামান আবাহনী কোচ মারুফুল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭তম মিনিটে গোল তুলে নেয় কিংস। ফের্নান্দেসের লং বল দুই ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও শাকিলের কেউ ক্লিয়ার করতে পারেননি, তাদের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়া বল জনি ছুটে গিয়ে টোকায় জড়িয়ে দেন জালে। ৭৫তম মিনিটে দেওয়া হয় দ্বিতীয় কুলিং ব্রেক। এর খানিক পর ঘুরে দাঁড়ায় আবাহনী। নির্ধারিত সময়ের তখন খেলা বাকি ছয় মিনিট। রাফায়েল আগুস্তোর ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফেরার পর বদলি নামা আরমান ফয়সাল আকাশ বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিখুঁত শটে খুঁজে নেন ঠিকানা। বাকি সময়ে কেউ গোল না পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
মাঠে গিয়ে দেখা যায়,ফ্রি প্যালেস্টাইন ব্যানার হাতে দর্শকরা গরমে বিরক্তির সময় কাটাচ্ছিলো। প্রথমার্ধে উত্তেজনাহীন খেলা দেখেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের দুই দলের পাল্টা গোল,অতিরিক্ত সময়ে গতির ফুটবল আর রুদ্ধশ^াস ট্রাইব্রেকার দেখে খুশি দর্শকরা।
বসুন্ধরা কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ জোবায়ের আলম নিপু বলেন, আমাদের টিম পুরো ১২০মিনিট ভালো খেলেছে। ফুটবল গোলের খেলা, আমরা ট্রাইব্রেকারে গোল পাইনি। এছাড়া আবাহনী ১০জনের দল হয়ে যাওয়ায় আমরা হয়তো একটু নির্ভার হয়ে পড়েছিলাম। এটা খেলারই অংশ। আমরা আশাবাদী আগামী খেলায় বসুন্ধরা ঘুরে দাঁড়াবে।
আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু বলেন, আমাদের ছেলেরা সময় মতো জ¦লে উঠেছে। বিশেষ করে ১০জনের দল হয়ে যাওয়ার পর তারা আরো গতি নিয়ে খেলেছে। ট্রাইব্রেকারে তারা সেরাটা দিয়েছে। তাই আমরা জয় পেয়েছি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com