আমোদ ডেস্ক।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন জয়কে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তবে, ধষণের চেষ্টার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন জয়।
অভিযোগ রয়েছে, চেঙ্গাহাটা চৌহমুনীতে জয়ের একটি ওষুধ ফার্মেসি রয়েছে। পাশে একটি চা দোকান আছে। সোমবার(২৩৪ আগস্ট) দুপুরে মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় চা দোকানির নয় বছরের শিশুটি দোকানে আসলে ছাত্রলীগ নেতা জয় ওই মেয়েকে তার ফার্মেসিতে ডেকে নেয়। জয় তাকে ফার্মেসির পিছনের রুমে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু শিশুটির চিৎকার করলে অন্যান্য দোকানিরা তাকে উদ্ধার করে।
পরে গ্রাম্য সালিশে নালিশ করলে জয়কে বৈঠকে জুতাপেটা করা হয়েছে।
ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহ জানান, ‘জয় আমার কাছে স্বীকার করেছেন মেয়েটির কাঁধে হাত দিয়ে কিস্ করেছেন মাত্র। তারপর তাকে শালিস বৈঠকে জুতাপেটা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘যাদের অপকর্মের কারণে ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়, এ ধরনের নেতাদের আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে মানায় না। আমরা তার বহিষ্কার দাবি করছি।’
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদিন জয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটি আমার ফার্মেসিতে গিয়েছে। তবে আমি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করিনি। শালিস বৈঠকে রকেট ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে জুতাপেটা করবেন আগে বুঝতে পারিনি।’
শালিস বৈঠকের বিচারক মাহবুবুর রহমান রকেট বলেন, ‘যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এলাকাবাসী জয়কে আটক করে মারধর করেছে। আমার গ্রামের ছেলে হওয়ায় অভিভাবক হিসেবে জুতাপেটা করে তাকে ছাড়িয়ে এনেছি।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল বলেন, অপরাধ ব্যক্তির, দলের নয়। অভিযুক্ত জয়কে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক বরাবর আমরা আবেদন করেছি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জেনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com