আমোদ রিপোর্টার।।
আড়াই বছর আগে ভালোবেসে নিপা আক্তারকে বিয়ে করেছিলেন ইয়াছিন। তিনি জেলার মুরাদনগর উপজেলার পালাসুতা গ্রামের প্রবাসী নোয়াব মিয়ার ছেলে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় মানিককান্দি গ্রামের নিপার বাবা ডালিম মিয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তারা ইয়াসিনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ে ইয়াসিন ও নিপার পরিবারে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্বে খুন হন তার ছোট ভাই আমিন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে পরিবারের কাছে আমিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে নিহতের ভাড়া বাসা নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। জানাযার নামাজ শেষে টমসমব্রিজ এলাকায় আমিনের লাশ দাফন করা হয়।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকালে কুমিল্লা নগরীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মডার্ন হাই স্কুলের পিছনে বিসিক এলাকার ভেতর মাঠে ক্রিকেট খেলছিলো ইয়াছিনের ছোট ভাই মোহাম্মদ আমিন। এই খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছিলো নিপার মামাতো ভাই পারভেজ। নো বল দেয়ার দ্বন্দ্বের জের ধরে নিপার মামাতো ভাই পারভেজ ইয়াসিনের ছোট ভাইকে মোহাম্মদ আমিন ছুরিকাঘাতে খুন করে। এদিকে গতকাল ঘটনার পরে রাতে অভিযান চালিয়ে ঘাতক পারভেজকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। তার দেখানো মতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়।
আমিনের মা শেফালী বেগম সকালে বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানার চারজনের নামোল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন ঘাতক পারভেজ, তার ছোট ভাই আরমান, ঘাতক পারভেজের খালা নাজমা ও খালু জুয়েল
নিহত মোহাম্মদ আমিনের বড় ভাই ইয়াছিন বলেন, আমি সম্পর্ক কইরা বিয়া করছি। এলাই¹া আমার ছোডু ভাইডারে আমার বউয়ের মামাতো ভাই পারভিজ্জা মাইরালাইছে। আমার ভাইডারে মারনের আগের সাপ্তাহ পারভিজ্জা আমার লগেও কাইজ্জা লাগছে। হেই সময় এলাকার মাইনষে কাইজ্জা থামাইছে।
আমিনের মা শেফালী বেগম বলেন, আমার পোলাডা সারাডা সাপ্তাহ কাম করতো। শুধু শুক্কুরবার আইলে খেলতো। কেউর লগে কাইজ্জা জগড়া করতো না। আমার ভালা পোলাডারে ছুরি দিয়া মাইরালাইলো।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে এজহার নামীয় আসামী নাজমা ও রাতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা রেলস্টেশন এলাকা থেকে ঘাতক পারভেজকে আটক করি। তার দেখানো মতে ছোরাটাও উদ্ধার করি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com