নগরীতে বাড়ছে মজা পুকুর
সংস্কারে কমবে জলাবদ্ধতা,মশার উপদ্রব
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লা নগরীতে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বর্ষার শুরুতেই নগরীতে জলাবদ্ধতার শো-ডাউনও হয়ে গেছে। নগরীর অর্ধ শতাধিক মজা পুকুর সংস্কার করলে এই জলাবদ্ধতা অনেক কমতে পাওে বলে মনে করেন নাগরিকরা। এই মজা পুকুরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ময়লা ফেলে, কোথাও কচুরিপানা জমিয়ে মজা পুকুর সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর পুরাতন চৌধুরপাড়া টিএন্ডটি মসজিদ সংলগ্ন পুকুর দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এতে কচুরিপানা জমে আছে। পুকুরের ভিতরে কলাগাছ জন্মেছে। মোগলটুলী এলাকার নাজির পুকুর পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে দুই যুগ ধরে। কাপ্তান বাজার এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিসের সাথের কার্জন কুটির পুকুরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। যদিও ময়লা না ফেলতে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে। এদিকে কাপ্তান বাজার এলাকার পশ্চিম অংশের ছোট কয়েকটি পুকুর ময়লা ফেলে ভরাট করতে দেখা গেছে।
মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুকী তাপস বলেন,নাজির পুকুরের পানি অনেক পরিস্কার ছিলো। ১৯৮৭-৮৮সালেও এই পকুরে গোসল করেছি,সাঁতার কেটেছি। পুকুর সংস্কার করলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।
আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন,শিক্ষাবোর্ডের পেছনে ঠাকুরপাড়ায় একটি পুকুরওসহ নগরীর বিভিন্ন পুকুর ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। পুকুর গুলো ব্যবহার উপযোগী থাকলে শিশুরা সাঁতার কাটতে পারতো। পাড়ে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং হাাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে করা যায়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা নগরীর পুকুর। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুরের বিকল্প নেই। ময়লা জমে থাকা পুকুর গুলো পরিষ্কার করতে হবে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসন,সিটি করপোরেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আরো কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জিপি চৌধুরী বলেন, আমরা সম্প্রতি নগরীর পুকুর গুলো সংস্কার করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি। এনিয়ে মেয়র মহোদয় খুব আন্তরিক। কয়েকদিনের মধ্যে এনিয়ে আমরা কাজ শুরু করবো। পুকুরর মালিকরা সংস্কার করতে না পারলে প্রয়োজন আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। আমরা আশা করি এতে জলাবদ্ধতা কমবে। মশা কমবে। সাথে পানির চাহিদা মিটবে এবং এলাকার পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়বে।