অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু প্রেিতরোধে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদারের দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী। ওষুধ ছিটানোর সাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধিরও দাবি জানানো হয়। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,মশা নিধন কার্যক্রম চলছে। সাথে চলছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।
সিটি করপোরেশনের সূত্র জানায়, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে নগরীর পুরাতন ১৮টি ওয়ার্ডে ঘনবসতি বেশি। প্রতিদিন একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৩জন মশা নিধনের কাজ করছেন। তাদের মধ্যে তিনজন সুপারভাইজার রয়েছেন। প্রতিদিন ব্যবহার করা হচ্ছে ১০টি স্প্রে মেশিন ও ৫টি ফগার মেশিন। সূত্র আরো জানায়,৩নং ওয়ার্ড রেইসকোর্স, ১০নং ওয়ার্ড কান্দিরপাড়, ১১ নং ওয়ার্ড রানির দিঘির পাড়,১২নং ওয়ার্ড ডিগাম্বরীতলা, ১৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ চর্থা, ২১নং ওয়ার্ড আশ্রাফপুর,শাকতলা,২২নং ওয়ার্ড পদুয়ার বাজার,২৩নং ওয়ার্ড চাঙ্গিনী ও ২৪ নং ওয়ার্ড বার্ড এলাকায় বেশি কাজ হচ্ছে। এছাড়া নগরবাসীর চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন স্থানে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে সিটি করপোরেশন থেকে একটি লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা শিরোনামে করা লিফলেটে বলা হয়েছে। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ¦র হয়। মশা দমন প্রতিরোধের প্রধান উপায়। তাই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। ডাবের খোসা,পাতিল বা টবে পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে হটলাইনে ০১৭১০-৬৪৩৯৪৭ নম্বরে যোগাাযোগের কথা বলা হয়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান টিটু বলেন,ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এজন্য সিটি করপোরেশনকে ব্যাপক প্রচারণায় যেতে হবে। নগরবাসীর সাথে বসে করণীয় ঠিক করতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন বলেন,বর্জ্য ও মশা একটা অপরটার সাথে জড়িত। যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলা ও পানি জমিয়ে না রাখার জন্য আমরা প্রচারণা করছি। আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়েম ভুঁইয়া বলেন,মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এই কার্যক্রম সম্প্রতি জোরদার করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এই বিষয়ে নগরবাসীর সাথে বসে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। নগরবাসীর সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মশা নিধন কার্যক্রমে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবো।