নগরীর অলিগলিতে বাড়ছে অস্থায়ী ডাস্টবিন

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর অলিগলিতে বাড়ছে অস্থায়ী ডাস্টবিন। এতে চারপাশে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে পরিবেশের দূষণ। যেখানে সেখানে আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলার দাবি সচেতন নাগরিক ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিন দেখা যায়,নগরীর আদালতের উত্তর পূর্ব কোণ। দেয়াল ঘেঁষে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ ময়লা ফেলে গেছেন। ময়লা কুকুর বিড়াল টানাটানি করে আরো ছড়িয়ে দিচ্ছে। পথচারীরা এপাশ দিয়ে নাকে হাত দিয়ে চলছেন। একই রকম দৃশ্য টমছম ব্রিজ,ঠাকুরপাড়া,চর্থাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে।
নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার বাসিন্দা গোমতী কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক সফিউদ্দিন লিটন বলেন, কুমিল্লা নগরীর যেখানে সেখানে ময়লাফেলা হচ্ছে। এতে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এটা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা পরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধ মুক্ত নগরী দেখতে চাই।
সিটির দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ন্যাশনাল ক্লাবের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, সিটির দক্ষিণ অংশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে তেমন কিছু নেই। যে যার মতো সড়কে,বাড়ির পাশের গর্তে আবর্জনা ফেলছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, অনেকে যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলেন। এবিষয়ে নাগরিককে আরো সচেতন হতে হবে। নগরবাসীর দাবি রাতেই যেন বর্জ্য নিয়মিত পরিষ্কার হয়। এতে মানুষ দুর্গন্ধ ও রোগ জীবানু থেকে সুরক্ষা পাবে। এসব বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
আলোকিত বজ্রপুরের সংগঠক রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন,বজ্রপুর এলাকার রাজ্জাক ম্যানশনের নিকট আমরা উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করেছি। সেখানে ভবনের সামনে খালি জায়গা রয়েছে। রাতের অন্ধকারে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ ময়লা ফেলে যাচ্ছেন। এবিষয়ে আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। নিজেদের উদ্যোগে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। এবিষয়ে সিটি করপোরেশনকে নজরদারী বাড়াতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনজুর কাদের মনি বলেন,একজন মেয়র ও ৩৬জন কাউন্সিলর দিয়ে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না। যতত্র ময়লা না ফেলতে আমরা লিফলেট বিতরণ,মাইকিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এজন্য নগরবাসীর সচেতনতা প্রয়োজন।