আমোদ প্রতিনিধি।।
ভরাট হয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা মহানগরীর ২০ নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া ঈদগাঁ মসজিদ-মাদরাসা সংলগ্ন বড় বাড়ির পুকুরটি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কোন অবস্থাতেই পুকুর ভরাট ও পুকুরের স্বাভাবিক গতি পরিবর্তন না করার নির্দেশনা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আঁধারে ভরাট করেই চলছে পুকুরটি। তবে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভরাট করেছেন বলে দাবি করছেন মাইনুল ইসলাম।
জানা যায়, কাজী পাড়া ঈদগাঁ মসজিদ-মাদরাসা সংলগ্ন বড় বাড়ির পুকুরটি সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কোন অবস্থাতেই ভরাট ও পুকুরের স্বাভাবিক গতি পরিবর্তন না করার নির্দেশনা থাকলেও ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাইনুল ইসলাম রাতের আঁধারে ভরাট করেই চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে কাজীপাড়া এলাকাবাসীর পক্ষে প্রবাসী মোঃ আব্দুর রহিম কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র,পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটির ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিকট লিখিত অভিযোগ ও সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাড়ে ঈদগাঁহ, মসজিদ আছে। তাছাড়া এই পুকুরের পানি দ্বারা মুসল্লিরা অজু ও গ্রামবাসীরা গোসল করে। উক্ত পুকুরটি অংশীদারের মধ্যে মো: মাঈনুল ইসলাম, গ্রাম: কাজীপাড়া, পুকুরটি ভরাট করার জন্য কাজ করছে। গত ১ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক বরাবর এ আবেদন করা হয়।
এ ব্যাপারে মো: মাঈনুল ইসলাম জানান, পরিত্যাক্ত ডোবাটি পুকুর নয়। ভরাটকৃত জায়গাটি আরএস ও সিএস খতিয়ানে চারাভিটা। ভুলবশত পুকুর উঠেছে। এটি চারাভিটা হিসেবেই ক্রয় সূত্রে মালিক হয়েছি। একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে কুসিকের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান সুরুজ জানান,পুকুর ভরাট হওয়ার অভিযোগ পেয়ে ওয়ার্ড সচিব সোহাগকে পাঠিয়ে পুকুর ভরাট কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত আরা কলি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। শুনানী শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com