নগরীর ছাদে ঝুলছে পালমার- রেড আইভরি

মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লা নগরীতে বাড়ছে ছাদ বাগান। বাগানে ঝুলছে পালমার, রেড আইভরি, ব্যানানা ম্যাংগো, আম্রপালি হাড়িভাঙ্গা,বারি ৪,৯,১১ ও কাটিমনসহ বিভিন্ন প্রকারের আম। রয়েছে কলা,লিচু,পেয়ারা,ডালিমসহ বিভিন্ন ফল। নগরীর ধর্মসাগর পাড়.চৌধুরীপাড়া,বাগিচাগাঁও,পুরাতন চৌধুরীপাড়া ও হাউজিংয়ের বিভিন্ন এলাকার ছাদে এই দৃশ্য দেখা গেছে। গ্রীষ্মের ফল আম ছাদ থেকে সংগ্রহ করছেন বাগানিরা। বিষমুক্ত সুস্বাদু আম পেয়ে খুশি তারা।


নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের চেয়ারম্যান গলির ফারহান নীড়ের ছাদে গিয়ে দেখা যায়,সেই ছাদে আমের মেলা বসেছে। ড্রামে বসানো দেড় থেকে দুই হাত লম্বা আম গাছ। ফলের ভারে গাছ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। কোনটির রং গোলাপি, কোনটি দেখতে কলার মতো। আমের সাথে আছে লিচু,কলা,পেয়ারা ও ডালিম গাছ রয়েছে। এই বাগানটি করেছেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর কবীর আহমদ।
প্রফেসর কবীর আহমদ বলেন,আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। বাবা কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। কৃষির প্রতি টান শৈশব থেকেই। ইচ্ছে ছিলো সামনে বড় বাগানসহ একটি বাড়ি করবো। সেটি হয়ে উঠেনি। তাই ছাদকে বেছে নিয়েছি। দুই বছর আগে বাগান করেছি। কয়েক দফা পাকা আম পেড়েছি। স্বাদ অতুলনীয়। প্রথমে ছাদে বাগান করা দেখে অনেকে নাক কুচকালেও এখন দেখতে আসে। অনেকে আমার বাগান দেখে উৎসাহিত হয়েছেন। অবসর সময় স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে বাগান পরিচর্যায় কাটিয়ে দেই।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত বলেন,আমরা প্রফেসর কবীর আহমদকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়েছি। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে চারা সংগ্রহের বিষয়ে সহযোগিতা করেছি। তিনি ড্রামে মাটি প্রস্তুত ভালো ভাবে করেছেন। নিয়মিত পরিচর্যা করছেন। তাই ভালো ফল পেয়েছেন।
কুমিল্লা গাডের্নার্স সোসাইটির পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ নাঈম বলেন, আমরা সবুজকে ছড়িয়ে দিতে এক যুগ ধরে কাজ করছি। বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ করছি। ছাদ বাগান করার বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছি। প্রফেসর কবীর আহমদেও মতো অন্যদেরও ছাদ বাগান করায় এগিয়ে আসা উচিত।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, নগর জীবনে আশংকাজনকভাবে সবুজ কমে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। ছাদ বাগান সেই সংকট কিছুটা হলেও কমাতে পারে। সবার খালি ছাদ ও বারান্দায় বাগান করা উচিত।