অফিস রিপোর্টার।

কুমিল্লা নগরীর অধিকাংশ মোড়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ থেমে যানজট ছিলো। যানজট নিরসনে গলদঘর্ম হতে হয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে। অনেকদিন লকডাউন শেষে তা শিথিল করায় সড়কে গাড়ি ও মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। বিশেষ করে ঈদ-আযহাকে কেন্দ্র করে অনেকে বাজার করতে আসায় নগরীতে গাড়ির চাপ বাড়ে। এছাড়া এলোপাথাড়ি পরিবহন চালানোর কারণে এই যানজট দীর্ঘ হয়।
নগরী ঘুরে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড়,রেইসকোর্স,শাসনগাছা, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ,চকবাজার,রানীর বাজার, টমছম ব্রিজ ও জাঙ্গালিয়ায় দিনভর যানজট ছিলো। যানজট তার উপরে প্রচণ্ড রোদে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।
নগরীর বাসিন্দা গোলাম শাহজাহান বলেন, নগরীর সড়ক গুলো সংকীর্ণ। তার উপরে প্রয়োজনের বেশি ইজিবাইক ও রিকশা চলছে। সড়ক সম্প্রসারিত না করলে যানজটের দুর্ভোগ দিন দিন বাড়তে থাকবে।

এদিকে কুমিল্লা নগরীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা বন্ধ করা হবে। চালু হবে সিটি সার্ভিস। বুধবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ ঘোষণা দেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে তালিকা সংগ্রহ করে শহরে কোথায় কোথায় রিকসা ও ইজিবাইক চার্জের গ্যারেজ আছে তা বন্ধ করা হবে।

এ বিষয়ে সভায় মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, নগরীর পাঁচটি সড়কে সিটি সার্ভিস চলবে। ভাড়া নির্ধারিত থাকবে। নির্ধারিত থামার স্থান থাকবে। প্রতিটি লেগুনাতে ১০/১২ জন মানুষ বসার ব্যবস্থা থাকবে। অল্প আয়ের মানুষ সহজে গন্তব্যে যেতে পারবে। যা রিকসা থেকে অনেক কম ভাড়া হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুমিল্লার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো.এমদাদুল হক বলেন, সামনে ঈদ,এছাড়া দীর্ঘদিন পর লকডাউন শিথিল হয়েছে। এসব কারণে নগরীতে গাড়ি ও মানুষের চাপ বড়েছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। আজ সড়ক চালু রাখতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে।