অফিস রিপোর্টার।।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে কুমিল্লায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবেন ১২৯১টি ভূমিহীন পরিবার। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ৬৬২টি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাকি ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হওয়া ঘরগুলোই আগামী ২০জুন গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে দুই জমিসহ ঘর প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লায় সমাপ্তকৃত ঘরগুলোও হস্তান্তর করা হবে। শুক্রবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক শওকত ওসমান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ২য় পর্যায়ের ১২৯১টি ঘরের বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। খাসজমি চিহ্নিতকরণে সমস্যা, বৃষ্টি, নিচু ভূমির মাটির জটিলতা, ভূমিহীন চিহ্নিত করাসহ নানা জটিলতায় বাকি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্তে বিলম্ব হচ্ছে। কুমিল্লায় আরও ৬২৯টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৫৯৫টি ঘরের মধ্যে প্রথম ৩৪৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজ শেষ হয়েছে আরও ২৩০টি ঘরের। আশ্রয়ণকৃত ঘরের বাসিন্দাদের জন্য কবরস্থান, পুকুর, মসজিদ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সরকার।
কুমিল্লার আদর্শ সদরে বরাদ্দকৃত ১০২টি ঘরের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৫৩, সদর দক্ষিণে ৪৪টির মধ্যে ৩০, চৌদ্দগ্রামে ১৮০টির মধ্যে ১২৫, নাঙ্গলকোটে ১৪৩টির ৪৫, লাকসামে ৩৮টির মধ্যে ২৪, মনোহরগঞ্জে ৪৮টির মধ্যে ৮টি, লালমাইয়ে ১০টির সব, বরুড়ার ১৩৮টির মধ্যে ৭০টি, চান্দিনায় ৫৩টির মধ্যে সব, দাউদকান্দিতে ৫২টির মধ্যে সব, মেঘনায় ২৪টির মধ্যে সব, তিতাসে ২২টির মধ্যে ১৫টি, হোমনায় ৫০টির মধ্যে ২৬টি, মুরাদনগরে ২৫০টির মধ্যে ৭০টি, দেবিদ্বারে ২০টির মধ্যে ১২টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭৫টির মধ্যে ১৫টি ও বুড়িচংয়ে ৪২টির মধ্যে ৩০টি ঘরের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাখওয়াত হোসেন ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com