আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা নগর উদ্যান। ২৩ একরের ধর্মসাগর দিঘিকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র। এ বিনোদন কেন্দ্র আরো নান্দনিকভাবে সাজাবে সিটি কর্পোরেশন। ধর্মসাগর দিঘির চারপাশে তৈরি করা হবে ওয়াকওয়ে। যা আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সূত্রমতে, ত্রিপুরার অধিপতি প্রথম ধর্মমাণিক্য ১৪৫৮ সালে ধর্মসাগর খনন করেন। যা ২৩.১৮ একর জমির উপর অবস্থিত। বর্তমানে এর পশ্চিমপাড়ে মানুষ হাঁটাচলা করেন।
সম্প্রতি ধর্মসাগর পাড় ও নগর উদ্যান থেকে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সিটি কর্পোরেশন। একই সাথে ভ্রাম্যমাণ হকারদের অপসারণ করা হয়েছে। স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পোষাকে উদ্যানে প্রবেশ করলে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহেল হোসেন সাইফ বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রাণের জায়গা ধর্মসাগর। দিনশেষে আমরা একটু মুক্ত বাতাসের জন্য প্রতিদিন যাই। মন ভালোর জন্য ধর্মসাগর, মন খারাপ হলেও ধর্মসাগর।
নগরীর প্রবীণ নাগরিক সাবেক পৌর কমিশনার, ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল বলেন, নগর থেকে যখন মহানগর হলো। সব কিছুর উন্নতি হচ্ছে। আমাদের সময়ের পৌর বাজেট, আর বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের বাজেট এক নয়। উন্নয়ন হোক তবে সেটা ইতিহাস-ঐতিহ্যকে রক্ষা করে। নগর উদ্যা আমাদের প্রাণের জায়গা। এটি সংরক্ষণ পবিত্র দায়িত্ব। আমি মনে করি, সকল কিছুর মূলে নাগরিকদের পাওয়াকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থায়ী -অস্থায়ী সকল দোকান অপসারণ করা হয়েছে। এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। নগর উদ্যানকে নান্দনিকভাবে সাজানোর জন্য একটি কমিটি থাকবে। তাদের সিদ্ধান্তে সকল উন্নয়ন কাজ হবে। ধর্মসাগর দিঘির চারপাশে তৈরি করা হবে ওয়াকওয়ে। যা আগামী তিন অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com