নবীনগরে আ’লীগ নেতার পরকীয়া তদন্তে পুলিশ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছয় সন্তানের জননী প্রতিবেশী চাচীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা। এসবে সতর্ক করতে গেলে চাচাকে উল্টো দেন হুমকি-ধমকি।  চাচি-ভাতিজার অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হবার প্রমাণ পেয়ে চাচা পুলিশ সুপারের কাছে দিয়েছেন লিখিত অভিযোগ। অভিযুক্ত হোসেন সরকার (৪২) জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শিবপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাজিদ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল কুদ্দুছ শুক্রবার (০৫ মে) বীরগাঁও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও অভিযুক্ত হোসেন সরকার জোড়া খুন, গরু চুরি ও দ্রুত বিচার আইনের মামলাসহ ডজন খানেক মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামি। অভিযোগ পাবার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আবদুল কুদ্দুছ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার তার প্রতিবেশী ভাতিজা। সেই সুবাদে তার স্ত্রী সম্পর্কে চাচি হলেও তার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ভাতিজা হোসেন সরকার। পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জননীর সাথে হোসেন সরকার অসামাজিক কাজে লিপ্ত উল্লেখ করে বলেন, এ ব্যাপারে তাকে সতর্ক করা হলে হোসেন সরকার উল্টো হুমকি দেন। গত ৩০ এপ্রিল তারা উভয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হন। তারা দু’জনে ব্যভিচারের লিপ্ত হওয়ার প্রমাণস্বরূপ মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড আব্দুল কুদ্দুছের কাছে সংরক্ষিত আছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে আরো বলা হয়, এই আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের লাম্পট্যের শিকারে আপন প্রতিবন্ধী ছোট বোনও হয়েছিলো অন্ত:সত্ত্বা!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের নাম ভাঙ্গিয়ে মেঘনা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া স্থানীয় বাইশমৌজা গরুর হাটের জাল খাজনা রশিদ তৈরির মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতি ও ভূমি দস্যুতাসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় দখল করে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার এসব অস্বীকার বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুছ চাচার স্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনো বিশেষ সম্পর্ক নেই। ওনার ছেলে এবং মেয়ের ফোন নাম্বার পাঠাই, ইচ্ছা করলে তাদের সাথে কথা বলে যাচাই করে দেখতে পারেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’