প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৯:০৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ৬:৪০ অপরাহ্ণ
নবীনগরে ডাক্তারকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, একজন গ্রেপ্তার
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে পারভেজ আহমেদ নামের এক ডাক্তারকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে ভিক্টিমকে উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত হাসপাতাল পরিচালক জসীম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। নবীনগর উপজেলা সদরে 'মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল'র এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) গ্রেপ্তার জসিম উদ্দিন সরকার পুলিশ জেলহাজতে পাঠায়। জসীম উদ্দিন সরকার জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের রফিক উদ্দিন সরকারের ছেলে। এদিকে হামলার শিকার হওয়া ডা. পারভেজ আহমেদ বাদী হয়ে 'মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার, পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারসহ আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডা. পারভেজ আহমেদ নবীনগর উপজেলা সদরের 'মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে' আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ডিউটি শেষ করে তাঁর নিজস্ব কক্ষে বিশ্রাম করতে যান। এসময় হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান খন্দকারের ডাকাডাকি উপেক্ষা করায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জোরপূর্বক বিশ্রাম কক্ষে প্রবেশ করে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হাত-পা বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ডা. পারভেজকে হাত-পা বাঁধাবস্থায় উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক জসিম উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালের ম্যানেজার ঝরনা ঘোষ জানান, 'একজন রোগী এলে আমি রিসিট কেটে ডাক্তার সাহেবকে দেখতে বলায় তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে জানান, 'আমার এখন কোন ডিউটি নেই, আমি যেতে পারবো না; তোমার মালিককে জানিয়ে দাও।' পরে হাসপাতালের মালিক হাবিব স্যার এসে অনুরোধ করলেও তিনি রোগী দেখতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এনিয়ে দু'জনে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এসময় হাবিব স্যারও আহত হয়েছেন।'
নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'একজনের ফোন পেয়ে মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করলেও হাসপাতালের মালিক হাবিবুর রহমান পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।'
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com