মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি।
কচি তালের শাঁস। গরম বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে গেছে তালের শাঁসের চাহিদা। চাহিদা বাড়ায় বিক্রিটাও হয়ে উঠেছে জমজমাট। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ বিভিন্ন অলি-গলিতেও এখন বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। সাইজ ভেদে প্রতিটির তালের দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা। মানুষ মুহূর্তের স্বস্তি পেতে পথের ধারে দাড়িয়েই খাচ্ছে এই তালের শাঁস।
মঙ্গলবার সরেজমিনে নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজারের রাস্তার দুই পাশ ও ফুটপাত ঘুরে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকজন মৌসুমী তাল ব্যবসায়ী কচি তালের শাঁস বিক্রি করতে। পাইকারির পাশাপাশি বিক্রি চলছে খুচরাও।
বাঙ্গরা বাজারের কয়েকজন তাল বিক্রেতা জানান, কুমিল্লার চান্দিনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের গাছ থেকে কচি তাল সংগ্রহ করেন তারা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। তালের দাম বেশি হওয়ায় পরিবহণ ভাড়া বেশি থাকায় এবার তালের দামটা একটু বেশি। আকারভেদে প্রতি হাজার তালের দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পড়ে বলে জানান তারা।
বাঙ্গরা বাজারের খুচরা তাল বিক্রেতা মোঃ ফয়সাল বলেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এখন তালের শাঁসের ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রতি পিচ তালের দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করছি। বিক্রিও বেশ ভালো। প্রতিদিন তার দোকানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার তাল বিক্রি করতে পারেন। তবে এবছর বেশি দামে কেনার কারণে লাভ কম হচ্ছে।
তিনি জানান, তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। কাটার জন্য অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ২৫০ থেকে ৩০০ ফল পাওয়া যায়। গাছ মালিককে শত হিসেবে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে কিনেন পাইকারিরা। আমরা তাদের কাছে থেকে কিনে নেই, সে জন্য একটু দাম বেশি পড়ে, গাছ থেকে কিনলে কম পড়তো আর লাভও বেশি হতো। তিনি আরো বলেন, তাল কাটার শ্রমিক ও গ্রাম থেকে বাজারে আনা পর্যন্ত পরিবহন খরচ নিয়ে পিচ প্রতি তালে ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ হয়। গ্রামাঞ্চলে দিন দিন তাল গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
তাল কিনতে আসা ফারুক আহম্মেদ নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে অন্যান্য জিনিসের যে দাম তার থেকে তালের দাম অনেক কম। এছাড়া বাচ্চারও তাল পছন্দ করে। তালে কোনো ভেজাল বা ফরমালিন নেই। একদম প্রাকৃতিক একটি খাবার পানীয়। তাই এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে তাল খাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com