।। গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু ।।
ফেসবুকের কল্যাণে ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই হয়তো কমবেশি জানেন যে, নবীনগর প্রেসক্লাবে গত শুক্রবার রাতে কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রামের বাসিন্দা, দেশের অন্যতম পোষাক শিল্প প্রতিষ্ঠান 'স্পাইডার' গ্রুপের কর্ণধার শিল্পপতি রিপন মিয়াকে (যিনি সকল মহলে রিপন মুন্সী হিসেবে সুপরিচিত) ঘটা করে একটি 'সংবর্ধনা' দেয়া হয়। তবে এই সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে নানা সমালোচনা চলছে।
এই আলোচিত সংবর্ধনার খবরটি আমি ঢাকায় বসে প্রথম ফেসবুকে দেখি।
এরপর পুরো বিষয়টি জানতে-- "নবীনগর প্রেসক্লাবের একটি 'সংবর্ধনা' অনুষ্ঠান নিয়ে গত দু'দিন ধরে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে! এর কারণ কী?" এরকম শিরোনামে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেই। ওই পোস্টে দেখলাম, অধিকাংশ মানুষ এই সংবর্ধনা নিয়ে খুবই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন৷ অর্থাৎ নবীনগর প্রেসক্লাবের এই সংবর্ধনাটিকে আম জনতা খুব একটি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি।
প্রশ্ন উঠতে পারে, নবীনগর প্রেসক্লাবতো এর আগেও অনেককে সংবর্ধনা দিয়েছে। তখনতো কাউকে নিয়ে তেমন সমালোচনা হয়নি। তাহলে এবার কেন এতটা সমালোচনা হচ্ছে? আসুন, একটু পেছনে যাই।
----ফ্লাশব্যাক---
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় এই সংবর্ধিত ব্যক্তি শিল্পপতি রিপন মুন্সিকে নিয়ে দেশের অন্যতম ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভিতে 'রিপন মিয়ার ঝাড়ুদিঘী আদালত' শিরোনামে ৩৮ মিনিটের একটি নাতিদীর্ঘ সরজমিন বিশেষ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছিল। সেসময় রিপোর্টটি দেশে বিদেশে ব্যাপকভাব আলোচনা ও সমালোচনার প্রচন্ড ঝড় তুলেছিল। বলা যায়, ফেসবুকে তখন সেটি 'ভাইরাল' হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ সেটি দেখেছে।
বিশ্বাস করুন, ওই রিপোর্টের পরই আমিও প্রথম রিপন মুন্সির নামটি জানতে পারি। যাক্, এই রিপোর্টটি নিয়ে আমি এখানে নতুন করে আর কিছু লিখবো না। তবে আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, যমুনা টিভির ওই 'দুর্ধর্ষ' রিপোর্টতে শিল্পপতি রিপন মুন্সিকে 'এরশাদ শিকদার' এর সাথে তুলনা করে যখন তার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মগুলো তুলে ধরা হয়েছিলো, আমি তখন আমার একটি লেখায় লিখেছিলাম, 'প্রথম আলো ও কালের কণ্ঠে দুইযুগের বেশি সময় ধরে এত বছর সাংবাদিকতা করে আমি আসলে কি শিখলাম? কি সাংবাদিকতা করলাম যে, আমার বাড়ির কাছে 'এরশাদ শিকদার' আছে, আর আমি সেটি এতদিন জানতেই পারলাম না! অথচ ঢাকা থেকে যমুনা টিভির অভিজ্ঞ সাংবাদিক ভাইয়েরা এসে নবীনগরে আরেক নব্য এরশাদ শিকদারকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হলেন!!
বিশ্বাস করুন, নিজেকে তখন 'সাংবাদিক' পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগতো। অনেকেই তখন আমাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে, আমি কোন জবাব দিতে পারতাম না, লজ্জা পেতাম।
তবে সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এখন সেদিনের 'লজ্জা' থেকে হয়তো কিছুটা রেহাই পাচ্ছি এই ভেবে যে, যমুনা টিভির ওই ভয়ংকর রিপোর্টটির পর একাধিক তদন্তেও নাকি রিপোর্টটির সত্যতা তেমন একটা পাওয়া যায়নি। যেটি গতকাল রিপন মুন্সিও আমাকে টেলিফোনে জোর গলায় জানালেন।
যাক্ এসব নিয়ে প্রয়োজনে আরেকদিন লিখবো। চলুন, আবারও প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা বিষয়টিতে ফিরে আসি।
আমি প্রেসক্লাবের এই সংবর্ধনার বিষয়টি নিয়ে ঢাকা থেকেই ফোনে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলার পর যেটি বুঝতে পারলাম, সেটি হল মিডিয়ায় যাকে ভূমিদস্যু, দখলদার, চাঁদাবাজ, মামলাবাজ, হত্যা মামলার আসামিসহ নানা নেতিবাচক বিশেষণে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, তো এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি রিপন মুন্সিকে নবীনগর প্রেসক্লাবের মতো একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন এমন ঘটা করে 'সংবর্ধনা' দেয়া হল? সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হল, সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরীর মতো একজন ট্যালেন্ট সুপ্রশাসক খ্যাত 'ভালো মানুষ 'প্রধান অতিথি' হিসেবে উপস্থিত থাকলেন কিভাবে??
যার ফলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও গত কয়েক'দিন ধরে এতটা জঘন্য ভাষায় নেতিবাচক লেখালেখি হচ্ছে?
নবীনগর প্রেসক্লাবের ওই সংবর্ধনায় কারা উপস্থিত ছিলেন?
জানতে পারলাম, গত ১০ জানুয়ারি রাতে নবীনগর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যে সংবর্ধনাটি দেয়া হয়, তাতে সেদিন সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন সাংবাদিক নেতা শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোদ্ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী। সেখানে আরও যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনসভা করে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন যিনি, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমার ক্লাসমেট তথা ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আরেক ধণাঢ্য ব্যবসায়ী কেএম মামুনূর রশীদ, নবীনগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আমার সরাসরি শিক্ষক যিনি ছিলেন, সেই শ্রদ্ধাভাজন আবু কামাল খন্দকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নবীনগর মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বর্তমানে বাঞ্ছারামপুর শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শুক্লা রাণী দেব, নবীনগর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম লিটন, নবীনগর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক স্নেহভাজন ফারুক আহমেদ প্রমুখ।এছাড়াও প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ সেদিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা নিয়ে কেন এত আলোচনা---????
একাধিক সূত্র থেকে যেটি জানতে পারলাম, মূলত নবীনগর প্রেসক্লাবের দৈনন্দিন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তথা ক্লাবটির সার্বিক উন্নয়নের দিকে যেন শিল্পপতি রিপন মুন্সি একটু সুনজর দিয়ে ক্লাবটির 'দাতা সদস্য' হিসেবে সদস্যপদ গ্রহণ করেন, সেজন্যই নাকি ঘটা করে এই সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করা হয়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবর্ধনায় উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি আমাকে ফোনে বলেন,'ওই সংবর্ধনায় কয়েকজন বক্তা নাকি তাৎক্ষণিকভাবেই নবীনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের জন্য রিপন মুন্সির কাছে একটি গাড়ি দাবি করে বসেন।'
সেসময় মঞ্চে থাকা প্রধান অতিথি ইউএনও রাজীব চৌধুরী নিজেও নাকি বেশ বিব্রবতবোধ করছিলেন। আর এসব কারণেই নাকি মূলত প্রেসক্লাবের এই সংবর্ধনাটি নিয়ে এতটা আলোচনা হচ্ছে, এমনটাই আমাকে জানালেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় পর্যবেক্ষক ।
সংবর্ধনা নিয়ে কে কি বললেন--???
ঢাকায় থেকেই আমি এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি। প্রথমেই কল দেই অনুষ্ঠানের 'প্রধান অতিথি' উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরীকে। তিনি আমাকে বললেন, 'দেখুন, ইউএনও হিসেবে তো আমাকে বিয়ে, খৎনা, ওরশ, কীর্তনসহ প্রায় সব অনুষ্ঠানেই কমবেশি যেতে হয়। আর প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠান হলেতো সেটিতে না গিয়ে পারা যায়না। এখন প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে কে বিতর্কিত, কে দখলদার, কে ভূমিদস্যু, কোন মামলার আসামি আসলেন, এত সবতো আমার জানার বিষয় না। আপনি বরং বিষয়টি নিয়ে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন, প্লিজ।'
পরে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তীকে বহুবার কল দেই। কিন্তু শ্যামল বাবু আমার একটি কলও রিসিভ করেননি।
এরপর আমি নবীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফের সঙ্গে ফোনে কথা বলি। সোরাফ আমাকে সুস্পষ্টভাবেই বললো,'ফেসবুকে ২/১ জন কিসব উল্টাপাল্টা লিখলেন, সেসব নিয়ে আমাদের কোন 'হেডেক' নেই দাদা।
সামাজিক একজন মানুষকে আমরা সংবর্ধনা দিয়েছি। এটিকে আমরা ভালো কাজ মনে করেই দিয়েছি। সুতরাং নবীনগর প্রেসক্লাব ভালো কাজের সঙ্গে অতীতেও যেমন ছিল, বর্তমানেও তেমনি আছে এবং ইনশাল্লাহ সারাজীবন প্রেসক্লাব ভালো কাজের সঙ্গে থাকবেও।" সাইদুল আরও জানালো,' মূলত এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে রিপন মুন্সি ভাইকে এই 'সংবর্ধনা' দেই। আর বিগত দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উনার (রিপন) বিরুদ্ধে যেসব রিপোর্ট প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে, আমাদের জানামতে, সেইসব নিয়ে অনেক তদন্ত হলেও তদন্তে এর কোন তেমন সত্যতাও পাওয়া যায়নি, যা আপনিও জানেন।'
এক প্রশ্নে প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি মিতভাষী সাইদুল আলম সোরাফ তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হাসতে হাসতে বলেন,' প্রেসক্লাবের ১/২ জন শুভাকাংখী বক্তা ওইদিন তাদের আবেগী বক্তব্যে গাড়ির দাবিটি করেছেন। তবে প্রেসক্লাবের কেউ রিপন ভাইয়ের কাছে গাড়ির দাবি করেননি।'
সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুনূর রশীদ এই শিল্পপতি রিপন মুন্সিকে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত দুই এমপি বাদল ও বুলবুল দুজনেরই ঘনিষ্টজন আখ্যায়িত করে বলেন,'প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি ছোটভাই সাইদুল আমাকে শুক্রবার চায়ের দাওয়াত দিয়েছিল। সেই দাওয়াত খেতে গিয়ে দেখি, সেখানে আওয়ামী লীগের ভক্ত শিল্পপতি রিপন মুন্সিকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও স্বয়ং ইউএনও সাহেবের উপস্থিতিতে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে। তখন আমি নিজেও বিব্রত হই। আসলে সংবর্ধনার বিষয়টি আমি জানতাম না'।
রিপন মুন্সি কি আদৌ হত্যা মামলার আসামি?
গত ১৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া একজন ছাত্র হত্যা মামলায় শিল্পপতি রিপন মুন্সিকে 'অর্থের যোগানদাতা' হিসেবে ১৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে বলে সেসময় ফেসবুকসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি হয়। এই মামলায় পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগ নেতা নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস এমনকি খোদ্ বিএনপি নেতা জগদীশ চন্দ্র সাহা (ভোলাচং) সহ মোট ১০৭ জনকে আসামি করা হয়।
তবে এ মামলায় রিপন মুন্সি ও তার বাবার নাম সঠিক থাকলেও, তার গ্রামের ঠিকানা নবীনগরের পরিবর্তে সানারপাড়া, নারায়ণগঞ্জ লিপিবদ্ধ হয়। যার কারণে এ মামলায় তিনি আদৌ আসামি হয়েছেন কিনা? সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে।
রিপন মুন্সি এ নিয়ে সোজাসাপ্টাভাবে যা বললেন----
এ বিষয়ে নবীনগর প্রেসক্লাব কর্তৃক সংবর্ধিত বহুল আলোচিত ও সমালোচিত বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি টেলিফোনে আমাকে বলেন,'দেখবেন দাদা, এই হত্যা মামলায় ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে আমার নাম রিপন মিয়ার স্থলে রিপন মিয়া মুন্সি লেখা আছে। আমিতো মুন্সি না। আর আমার পিতার নামও ভুল। এছাড়া মামলায় আমার বাড়ি নবীনগরের নারুই হলেও, ঠিকানা দেয়া আছে সানারপাড়, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। পাশাপাশি ১৪ নম্বর আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বলা হয়েছে। কিন্তু আমি তো কোন দল বা রাজনীতি করিনা। তাহলে সবকিছু না জেনে আমাকে কেন ১৪ নম্বর আসামি আপনারা বলছেন দাদা?
তবে রিপন মুন্সি সরলভাবে আমাকে জানান, যখন যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে, একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসার স্বার্থে সর্বদাই আমরা সরকারি দল করি, সরকারের গুণগান করি, এটি সত্য।'
(লেখক)
যমুনা টিভির রিপোর্টেতো আপনাকে ভয়ংকর খতরনাক, ভূমিদস্যু, দখলদার, চাঁদাবাজ, মামলাবাজসহ নানাভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসবই কি মিথ্যে?
এমন প্রশ্নের জবাবে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একদম
শান্ত স্বভাবের চারিত্রিক বৈশিষ্টের এই আলোচিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি এসব অভিযোগকে পাগলের প্রলাপ ও অপপ্রচার বলে নিজেকে 'নির্দোষ' দাবি করে বলেন,' এসবই মিথ্যে। শুধুই অপপ্রচার ও সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো কল্প কাহিনী। বিগত দিনে নানা গণমাধ্যমে ভুয়া এসব রিপোর্ট প্রকাশ ও প্রচারের পর সরকারি একাধিক তদন্তে আমার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের কোন সত্যতাই মেলেনি। সুতরাং আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা জাতির বিবেক। আপনারা দয়া করে তথ্য যাচাই বাছাই করে সংবাদ লিখবেন দাদা। আপনাদের লেখায় যেন কোন নিরপরাধ মানুষ ফেঁসে না যায়, সেদিকে একটি খেয়াল রাখবেন, প্লিজ।"
আপনাকে যদি নবীনগরের কথায় একদিন ডাকা হয়, এসব বিষয় নিয়ে খোলামেলা কখা বলতে 'জনতার মুখোমুখি' হবেন?
আমার এই শেষ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,' আমি টকশোতে কখনও যাইনা। তবে আপনার নবীনগরের কথার টকশোগুলো আমি সময় পেলেই দেখি। আপনার টকশোগুলো সত্যিই আমার ভালো লাগে।
দেখি দাদা, সময় পেলে, অবশ্যই আপনার টকশোতে একদিন নিশ্চয়ই যুক্ত হবো!!!
লেখক:গণমাধ্যমকর্মী। যুগ্ম আহবায়ক, বিএসসি
০১৭১১-৪৪৫৭৯১
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com