নিখোঁজের দুইদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার; সৎ বাবা পলাতক

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর ধান খেত থেকে আরাফাত হোসেন বাপ্পি (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শিশুর সৎ বাবা রুবেল সেলিম পলাতক রয়েছেন।

উপজলার চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ধনাজোড় গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী।

নিহত বাপ্পির নানা জালাল আহমেদ জানান, বাপ্পি আমার মেয়ের প্রথম সংসারের ছেলে। পরবর্তীতে চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ধনাজোড় গ্রামের রুবেল সেলিমের সাথে মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। ৭ দিন আগে তাদের নতুন সংসারে একটি সন্তান জন্ম হয়। তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে কৌশলে চকলেট ও সাইকেল চালানোর প্রলোভনে বাপ্পিকে নানার বাড়ি  সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাটপাড়া তারাপুর গ্রাম থেকে নিয়ে যায়। তারপর তাকে হত্যা করে ধান খেতে লুকিয়ে রাখে। রবিরার সন্ধ্যায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত বাপ্পির মামা আল আমিন জানান, নিখোঁজের পর থেকে বাপ্পির হত্যাকারী সৎ বাবা রুবেল সেলিম আমাদের সাথেই ছিল। শনিবার সকালে থানায় নিখোঁজ জিডি করি। বাড়ির পাশে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে আমাদের রুবেল সেলিমকে সন্দেহ হয়। কারণ বাপ্পির নিখোঁজ এবং সেলিমের আমাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়া একই সময়ে। এছাড়া তার আচরণও সন্দেহজনক ছিলো। পরবর্তীতে সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে বাপ্পির সন্ধান দেয়। সেলিম জানান, সিএনজি অটো রিকশার ধাক্কায় বাপ্পি মারা গেছে। তাই তার মরদেহ ধান খেতে ফেলে রেখেছে। আমরা তার তথ্য মতে স্থানে গিয়ে দেখি, আমার ভাগিনার চোখ তুলে ফেলে, ঘাড় ভেঙ্গে ফেলেছে। এরপর থেকে সেলিম রুবেল পলাতক রয়েছে।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী জানান, লাশ উদ্ধার করে  ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত রুবেল সেলিমকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।