কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গার্মেন্ট কর্মী দ্বারা ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের শেখ আমির হোসেনের (৫৪) বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাঙ্গরা ৫নং ওয়ার্ড থেকে শেখ আমির হোসেন নির্বাচনী প্রচারণায় নামে। তার জনপ্রিয়তা দেখে বর্তমান মেম্বার শামসুল হক প্রকাশ শাম মিয়া এক মেয়ে দিয়ে মুরাদনগর থানায় গণধর্ষণের মামালা দেন। বৃহস্প্রতিবার ভোরে পুলিশ এসে তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, মেয়েটি রাতে থানায় এসে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করে । পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। আসামি ও ওই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই মেয়ে স্বীকার করে ঘটনাটি একজনের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সাজানো হয়েছে।
বাঙ্গরা গ্রামের আব্দুল্লাহ ,গোলাম সারোয়ার, হৃদয়, শেখ ফরহাদ ও আবু কাউছার বলেন, শেখ আমির হোসেন রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এলকায় কম্বল বিতরণ করেন। তারপর আমাদের নিয়ে বাঙ্গরা এলাকায় রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত মহল্লাবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করেন।
যাকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক সাজানো হয় ওই নারী বলেন, মনির হোসেন নামে এক ছেলের সাথে আমার চট্টগ্রামে পরিচয় হয়। তাকে আমি ভাই বলে ডাকি। সে পরিচয় করিয়ে দেন মেম্বারের সাথে। মেম্বার শিখিয়ে দেন শেখ আমির হোসেনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করতে। এরপর মেম্বার আমাকে রাতে থানার সামনে এনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। তখন আমি থানায় গিয়ে মেম্বারের শিখানো গণধর্ষণের কথা বলে মিথ্যা নাটক সাজাই। ওই মেম্বারকে আমি প্রথম দেখছি। সে মুখে মাস্ক পরা ছিল। দাড়ি আছে।
তবে এবিষয়ে শেখ শামসুল হক বলেন, আমি ওই মেয়েকে চিনিই না। এমন কাজ করলেতো আমার থানা বাঙ্গরায় করতে পারতাম।
এজাহারে বলা হয়, ৮ ডিসেম্বর রাত ৭টা ৪০ থেকে ৮টা ১০ পর্যন্ত ওই নারীকে কোম্পানীগঞ্জ পল্লীবিদুৎ এলাকার গফুর মৌলভীর বাড়ির পাশ দিয়ে দক্ষিণ দিকে ঝোপের মধ্যে শেখ আমিরসহ তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ওই সময় শেখ আমির হোসেন তার নিজ এলাকা বাঙ্গরায় কম্বল বিতরণের কাজে ছিলেন। রাত ১১টার পর তিনি বাসায় ফিরে যান।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশিম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের পর আসামি ও ভিকটিমকে থানায় এনে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভিকটিম স্বীকার করেছেন অভিযোগটি সাজানো ছিল।