সুমির চোখ,মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন
প্রতিনিধি।
কুমিল্লা নগরীতে এক গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর বাথরুমে তাকে আটকে রেখে বাড়িতে তালা মেরে চলে যায় বাসার লোকজন। গৃহকর্মী সুমির চোখ,মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ নির্যাতনের শিকার সুমিকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গৃহকত্রী ফারহানা ইসলামকে আটক করেছে।
বুধবার সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই বাসা থেকে শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। লাকসাম থেকে গৃহকত্রী ফারহানা ইসলামকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পঠানো হয়েছে। ওই গৃহকর্মীর বিস্তারিত পরিচয় এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে পরিচয় পাওয়াও কঠিন হবে। কারণ আটক ফারহানা ইসলাম জানিয়েছেন,এই শিশুটিকে ফারহানার মা দুই বছর আগে তাদেও বাসায় নিয়ে এসেছেন। কোথা থেকে এনেছেন তা তাদেরকে বলেননি। ফারহানার মাও ইতোমধ্যে মারা গেছেন। সুমীর বয়স সাত- আট বছর হবে। তার শরীরে নির্যাতনের রোমহর্ষক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর ভুইয়া বলেন, কয়েক বছর আগে কুমিল্লা নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া এলাকায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম দম্পতির বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে সুমিকে আনা হয়। প্রায়ই তার উপর চালানো হতো নির্যাতন। মঙ্গলবার নির্যাতন শেষে বাথরুমে তাকে আটকে রেখে বাড়িতে তালা মেরে চলে যায় বাসার লোকজন। পার্শ্ববর্তী বাসার লোকজন শিশু গৃহকর্মী সুমির চিৎকার শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com