আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
সবজির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে করছেন দরকসাকসি।বিক্রেতা শেষে বলেই ফেললেন ৪০ এর নিচে কোনো সবজি নাই বাজান? দোকানি পটল আর মুলা দেখিয়ে বললেন, নিলে এগুলাই নিতে হবে। এই ছাড়া কোন সবজি ৪০ এর নিচে নাই। দুই পদের সবজি বাজারের ব্যাগে পুরে চললেন পাশের ডিমের দোকানে। ৩০ টাকা হালি দরের ডিম নিয়ে ছুটলেন বাসার পথে। তার নাম আবু ইউসুফ। কাজ করেন কুমিল্লা বিসিকে। মাইনে কম বলে এভাবেই কম দামের সবজিতে চোখ দিতে হয় ইউসুফকে।
তিনি জানান, ঈদের আগ থেকেই সবজির দাম বেশি। শহরে আসার পর এখনো বেতন হাতে আসেনি। আগের বার সবজি কিনতে গেয়েছিলাম নিউমার্কেট বাজারে। দাম বেশি নিয়েছে মনে করে এবার রাণীর বাজার এসেছি। এখানেও একই অবস্থা। দাম কোথাও কম নাই। তবে ক্রেতা আবদুল হালিম বলেছেন সবজির দাম কমেছে। যে হারে কমেছে তা এখনও হাতের বাইরে।
কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারের সবজি ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। কুমিল্লার রাণীর বাজার, টমছমব্রিজ বাজার, বাদশামিয়ার বাজার , নিউ মার্কেট বাজার ঘরে দেখা যায়, সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে। তবে দাম কমেও নাগালের বাইরে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
রাণীর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মিরাজ জানান, দেশি শসার দাম ৫০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫-৬০টাকা। গাজরের দাম আশি টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। আলু ২০ টাকা যা আগেও বিশ টাকাই ছিল। টমোটো আগের সপ্তাহের দামে ৫০টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি সিম, কইডা, ঝিঙা, ঢেরস একই দাম ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কুমড়া ও লাউ প্রতিপিসে ৫ টাকা কমেও ৪০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব প্রকারের শাকই ২৫ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাচ কলা হালি ৪০ টাকা। গোল বেগুন ও লম্বা বেগুন ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com