ইলিয়াছ হোসাইন।।
পলাশের আগুন রঙে সেজেছে ঐতিহ্যের কুমিল্লা জিলা স্কুল। বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের ভবনের সামনে তাগড়া যৌবনা পলাশ ফুল গাছটি শাখা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাস্যৌজ্জ্বল চেহারায়। যে দৃশ্য মনকাড়ে সকলের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হরেক রকম পাখি বৃক্ষের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় চাঞ্চল্যকর ছুটোছুটিতে ব্যস্ত। শালিক,বুলবুলি,কোকিল ঠুকরে খাচ্ছে পলাশের কমলা রঙের পাপড়ি। পাখপাখালির মধুর সুরে মুখরিত বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা। গাছতলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকা ঝরাফুল কুড়িয়ে নিচ্ছে দর্শনার্থীদের কেউ;কেউ কেউ ব্যস্ত মুঠোফোনে ফুলের সাথে নিজের ছবি তোলায়। অনেক তরুণ ইউটিউবারও আসেন পলাশের রঙ আর কোকিলের কুহুকুহু শব্দ ভিডিওতে ধারণ করতে। গাছটির বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর। অধিক বছরের পুরাতন-নতুন এমন নানা রঙের গাছ দিয়ে সজ্জিত বিদ্যালয়ের পরিবেশ। সকাল -বিকেল ভিড় জমে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ বাইরের দর্শনার্থীদের।
কুমিল্লা ঝাউতলা থেকে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী বলেন,পলাশফুল গাছটি সবাইকে মুগ্ধ করে। আমি সকাল থেকে গাছটিকে অধীর আগ্রহে দেখছি। এক কথায় গাছের ফুলগুলো এতো সুন্দর ফুটে আছে। দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। পাখিদের কিচির মিচির শব্দ,এক পাখি আরেক পাখিকে খাওয়ানোর লোভনীয় দৃশ্য এখানে দেখা যায়।
বিদ্যালয়ের গার্ড কবির আহম্মেদ বলেন,গাছ নিয়ে তো মানুষ এখন আর অতো আগ্রহ দেখায় না;এটা খুব কষ্টের ব্যাপার। গেইটে বসে থাকি। প্রতিদিন অনেক লোকের সমাগম হয়। মাঠের সামনে পলাশফুল গাছটি যতো দেখি ততোই মনে আনন্দ পাই। অনেকে এসে গাছটির ফুলের সাথে ছবি তোলে,আবার কেউ কেউ ঝরাফুল গুলো প্রিয়জনদের জন্য কুড়িয়ে নেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ আমোদকে বলেন - কুমিল্লা জিলা স্কুল কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টিকে সবুজে সজ্জিতের চেষ্টা করছি। শিমুল,পলাশসহ অনেক গাছ দিয়ে আবৃত আমাদের বিদ্যালয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক দর্শনার্থী আসেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণে জনগণকে উৎসাহ দেন। বলেন,একটি গাছ কাটলে যেনো আমরা ২০টি গাছ রোপন করি। আমরা সেই প্রেরণায় বিদ্যালয়কে গড়ে তোলা এবং পরিচর্যার চেষ্টা করছি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com