প্রতিনিধি।।
সকল চাকরির সকল গ্রেডে ও সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বৈষম্যমূলক কোটা নিরসনের দাবিতে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) শিক্ষার্থীরা। এই হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাংলো হয়ে আনসার ক্যাম্প ঘুরে গোল চত্বরে এসে শেষ হয়।
মিছিল আনসার ক্যাম্প পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা সেখানে এক যোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং পুলিশি হামলার শিকার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। নীরবতা পালন শেষে শিক্ষার্থীরা আনসার ক্যাম্প মোড়কে 'ছাত্র আন্দোলন চত্বর' ঘোষণা করে। এরপর চত্বরটিতে আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে আহত দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ রায়হান ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মিলে নামফলক লাগান।

এরপর এই চত্বরের স্মৃতিস্বরূপ দুইটি গাছ লাগান শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীরা সদ্য নাম দেয়া ছাত্র আন্দোলন চত্বরে বক্তব্য রাখেন। তারা সেখানে এই হামলায় জড়িতদের বিচার চান এবং সেদিনের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এই পুরোটা সময় আন্দোলনকারীরা 'লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই, আমার সোনার বাংলায়, বৈষ্যমের ঠাই নাই, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন বলেন, আমাদের এ আন্দোলন যৌক্তিক ছিল। আমরা বিশ্বরোডের দিকে যাচ্ছিলাম অবরোধ করতে। তখন আমাদের ওপর হামলা করা হয়, লাঠিচার্জ করা হয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল (১১ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এর জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, টিয়ারশেল, ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরবর্তীতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।