নিউজ ডেস্ক।।
মানুষের কৌতূহলের কোনো শেষ নেই। মানবজাতি একের পর এক অজানাকে জানতে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক আগে থেকেই মহাকাশ নিয়ে মানবজাতির আগ্রহের অন্যতম ক্ষেত্র। বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের বিকাশ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন মানুষের সেই দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে সত্যি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ব্লু অরিজিন রকেটে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণে যান। মাত্র সাড়ে ১০ মিনিটেই মহাকাশ ভ্রমণ শেষ করে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসেন তারা। তারা পৃথিবী থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার উঁচুতে কারম্যান লাইনের উপরে ওঠেন। যেখানে তারা ভর শূন্যতা উপভোগ করেন। এর আগে গত ১১ জুলাই ব্রিটিশ ধনকুবের, উদ্যোক্তা ও মহাকাশযান নির্মাতা কোম্পানি ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন মহাকাশ ভ্রমণ করেন।
এখন ধনীদের ভ্রমণের নতুন গন্তব্য হচ্ছে মহাকাশ। একটা সময় মহাকাশ ভ্রমণ পরাশক্তিধর দেশের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সম্মানের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন মহাকাশে ভ্রমণের শ্রেষ্ঠত্ব দখলের লড়াইয়ে নেমেছিল।
আর এখন মহাকাশ নিয়ে গবেষণার শূন্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি খাত। মহাকাশ ভ্রমণে মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করেছেন বেশ কয়েক জন উদ্যোক্তা। চলতি মাসেই মহাশূন্যে বাণিজ্যিক ভ্রমণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছেন দুই জন ধনী ব্যবসায়ী। একজন ব্রিটিশ বিলিওনেয়ার রিচার্ড ব্র্যানসন। আর অন্যজন মার্কিন ব্যবসায়ী জেফ বেজোস।
মহাকাশ ভ্রমণকারী রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের ভেতর দিয়ে মহাকাশে পর্যটনের নতুন এক যুগের সূচনা হবে। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরেক মহাকাশ ভ্রমণকারী অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও মাত্র সাড়ে ১০ মিনিটে মহাকাশ ভ্রমণ শেষে ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে। বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন এই নিউ শেপার্ড নামে রকেটটি তৈরি করেছে। এটি মহাকাশ পর্যটনের জন্য ক্রমবর্ধমান বাজারের চাহিদা পূরণের জন্যই নকশা করা হয়েছে।
এই দুই ব্যবসায়ীর ভ্রমণের পর মহাকাশ ভ্রমণের এক নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। মহাকাশচারী হওয়ার যে স্বপ্ন মানুষের ছিল তা পূরণে সহায়তা করবে। যা শুধু এতদিন পেশাদার বিজ্ঞানী ও বৈমানিকদের পক্ষেই সম্ভব ছিল।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মহাশূন্যে যারা বেড়াতে যেতে চাইবেন তাদের বেশ অর্থবান হতে হবে। মহাশূন্যে কয়েক মিনিটের অভিজ্ঞতার জন্য প্রতিটি টিকিটের ব্যয় পড়বে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর ব্যয় দাঁড়াবে ২ কোটি ১২ লাখ টাকা।
ইতোমধ্যে ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকে চড়ে মহাকাশে যেতে টিকিট রিজার্ভ করেছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে ৭ হাজার ৬০০-এর বেশি মানুষ ব্লু অরিজিনের মাধ্যমে মহাকাশে যেতে চায়। তারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন। অনেকে টাকাও জমা দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০৪০ সাল নাগাদ মহাকাশ ভ্রমণ ব্যবসা ৩৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com