ইমামতির দ্বন্দ্বে খুৃন করা হয় মাওলানা সুলতান উদ্দিন নুরীকে। তার প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার অসহায় পরিবার। চার ছেলেকে নিয়ে নুরী হত্যার বিচার দাবি করেন শারিরীক প্রতিবন্ধী স্ত্রী হেলেনা বেগম। মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীতে একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানানো হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মাওলানা সুলতান উদ্দিন নুরীর বড় ছেলে ওবায়দুল্লাহ বলেন, প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে বার বার বাবার হত্যা মামলা তদন্ত ভিন্ন দিকে নেয়া হয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে বাবার উপর বেশ কয়েকবার হামলা করেছেন এরশাদুর রহমান মুজাহেদী ওরফে বাচ্চু মৌলভীর ছেলে মাহবুব ও তার সঙ্গীরা। কারণ মাহবুব চাইতো তার পিতা বাচ্চু মৌলভী স্থানীয় মসজিদটিতে ইমামতি করুক। সর্বশেষ তার পিতাকে আঘাতের পর মাহবুবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোনো অদৃশ্য কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাউছার ও মোবারক নামে দুজনের নাম মামলার চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়। মোবারকের পিতার নাম ভুল করে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। কাউছার একজন সহজ সরল মানুষ। পেশায় সে মাছ বিক্রি করে। আমার পিতাকে আহত অবস্থায় দেখে সে লোকজনকে খবর দেয়। এদিকে মোবারক পুলিশে চাকরি করে। সঠিক তদন্ত হলে সত্য ঘটনা ও মূল আসামিরা বেরিয়ে আসবে। আমরা প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারে পিবিআইয়ের সহায়তা চেয়েছি। কিন্তু পিবিআই দেবিদ্বার থানার পূর্বের তদন্ত রিপোর্টের অনুরুপ প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করে। এবিষয়ে আমরা আদালতে নারাজি দিয়েছি। আমরা প্রকৃত হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার চাই।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন,আমি তদন্তে যা পেয়েছি তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছি। এবিষয়ে আমার আর কোন বক্তব্য নেই।
উল্লেখ্য-২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর দেবিদ্বার উপজেলার মুগসাইর সুন্নীয়া জামে মসজিদে ফজর নামাজ পড়াতে বের হলে রাস্তায় হামলা করা হয় মাওলানা সুলতান উদ্দিন নুরীর উপর। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। ২৯ অক্টোবর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এতে সুলতান উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে মাহবুবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মাওলানা সুলতান উদ্দিন নুরী পাশের ব্রাহ্ম্নণপাড়া উপজেলার চৌব্বাস গ্রামের বাসিন্দা।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com