মোহাম্মদ শরীফ।।
বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠতে শুরু করেছে কুমিল্লার কৃষি জমি। অনেকটা নাক উচিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে আউশ মৌসুমের ধান। সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লায়ও বন্যার প্রভাব পড়েছে। এতে ডুবে গিয়েছিল আউশ মৌসুমের কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল। করোনা থেকে রক্ষা পেতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কুমিল্লায় বেশী জমিতে ধান রোপন করা হয়েছিল। পানি কমলেও ধান নিয়ে এখনো শঙ্কা কাটেনি কুমিল্লার কৃষকের। ধান গাছ পঁচে যাওয়া, পোকার আক্রমণ ও জলাবদ্ধ ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পোমকাড়া গ্রামের কৃষক বিলাল হোসেন জানান, বন্যায় ভেবেছিলাম ধান পঁচে যাবে। দ্রুত পানি কমে যাওয়ায় এখন ধান ভাল আছে, বাকিটা আল্লাহর হাতে।
[caption id="attachment_1158" align="aligncenter" width="1019"] বিজ্ঞাপন[/caption]
কুমিল্লায় আউশ মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। বন্যার জোয়ারের পানিতে কিছু কৃষি জমি নষ্ট হলেও, তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা হয়ে হবে না বলে ধারণা করছে কুমিল্লা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর।
[caption id="attachment_1154" align="aligncenter" width="1015"] বিজ্ঞাপন[/caption]
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার উত্তম কুমার কবিরাজ জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় এ বছর ১২ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। প্রথম দিকে ভাইরাসের আক্রমণে কিছু জমি আক্রান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে জোয়ারের পানিতে ইউছুফপুর, সুবিল ও রসুলপুর ইউনিয়নে কিছু ধানি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার পরিমাণ ৬০ হেক্টর'।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com