মহিউদ্দিন মোল্লা।।
আবার ফিরে আসছে মাশরুমের সোনালি দিন। এতে দেশে প্রাথমিক ভাবে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে ৩০হাজার মানুষের। সেনিরিখে ৮০০জন উদ্যোক্তা তৈরি ও ৮০০টি মাশরুম পল্লী স্থাপন করা হবে। প্রতি উদ্যোক্তার অধীন থাকবে ৩০জন চাষি থাকবেন। দেশে বর্তমানে ৪০হাজার মেট্রিক টন মাশরুম উৎপাদন হয়। প্রকল্প শেষে ২০২৭সালে তা দাঁড়াবে ১০০ হাজার মেট্রিক টনে। কৃষি বিভাগ এবিষয়ে উদ্যেক্তা ও চাষিদের প্রশিক্ষণ,বীজসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করবে। বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে কাজ করলে মানুষ শুনবে। কৃষকেরা যেখানে ভালো দাম পাবেন না, তাদের দাম পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। আপনারা তাদের জন্য কাজ করবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ এনামুল হক। কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতার জাহান কাঁকন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কৃষির মাঠ কর্মকর্তা,মাশরুম উদ্যোক্তা,শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বক্তারা আরো বলেন, কৃষি উদ্যোক্তারা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন। কেউ চাকরি ছাড়ছেন, বিদেশ ছেড়ে চলে আসছেন। শিক্ষিত ছেলেদের কৃষিতে নিয়ে আসলে অনেক অপরচুনিটি তৈরি হবে। তারা অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারবেন। আজকের অনুষ্ঠানে মাশরুমকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। মানুষের প্রচুর আগ্রহ আছে মাশরুম নিয়ে। মাশরুমের বাজার বাড়ছে। মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে না। আমরা মাশরুম উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। আপনারা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারেন, আমরা রপ্তানির সুযোগ তৈরি করে দিব।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com