মোঃ মনিরুজ্জামান।
কুমিল্লা কীটনাশক মুক্ত বাঁধাকপির চাষ হচ্ছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাঠে ভালো ফসল দেখা গেছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কপি চাষে পানি দিতে এবং নিড়ানিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। হাইব্রিড কপির মধ্যে মার্বেল, স্নোবল, হোয়াইট স্নোবল, নিঞ্জাসহ আরও অনেক জাতের কপির চারা লাগিয়েছেন চাষিরা। এ সকল জাতের কপি মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায়। এ জাতের কপি বাজারে অনেক চাহিদা থাকে। এতে করে আশানুরূপ দাম পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জৈব সারের মাধ্যমে কপির চাষ করছেন চাষিরা।
কুমিল্লা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় শীতকালীন সবজিসহ ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১১১৯৪ হেক্টর।
চৌদ্দগ্রাম কাশিনগর ইউনিয়নের উত্তর যাত্রাপুর গ্রামের কপি চাষি আবদুল গফুর বলেন, হাইব্রিড কপির চারা লাগিয়েছি প্রায় ৪০ শতক জমিতে। জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করেছি। এখন পর্যন্ত বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। এ জমিতে কপি চাষে মোট খরচ হবে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত যে ভাবে আশানুরূপ ফলন হয়েছে তাতে আশা করি প্রায় ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব। এখানে আমার লাভ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।
সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের লামপুর গ্রামের জামিউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। যদি কোন রোগবালাই পোকামাকড় আক্রান্ত না করে তাহলে ভালো টাকা আয় করতে পারব।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা উপ পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এবারে শীতকালীন সবজিসহ কপির বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। কপি চাষিদের বিভিন্ন ধরনের কপির রোগবালাই পোকামাকড় সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। এ সকল ক্ষতিকর পোকামাকড় রোগবালাই এর হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com