বাঁধে গাছ নিয়ে পানি উন্নয়ন ও বন বিভাগের বাহাস!
জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা
প্রতিবেদক।।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অজুহাত দেয়া যাবে না। দায়িত্ববোধের আলোকে স্ব- স্ব দপ্তরের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিটি দপ্তরের সাথে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) পন্কজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এ সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছামছুল আলম। কুমিল্লা ইপিজেডের কলকারখানার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনটি পর্বে সদর দক্ষিণ উপজেলায় সিটি এলাকার পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ইপিজেড, সিটি কর্পোরেশন ও এর বাইরের নিষ্কাশিত পানি পৃথকভাবে পরীক্ষা করা হলে প্রকৃত অর্থে কোন পানি বিষাক্ত তা সহজীকরণ হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের আলোচনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি, মশার উপদ্রব ও হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা বিশদ আলোচনা করা হয়। ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে পোড়া মাটির ইটের পরিবর্তে বিকল্প উপাদান ব্যবহার করা যায় কিনা- এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন, কৃষকদের অভিযোগ জমির উপরিভাগের মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদন কম হয়। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এখনও ইটের বিকল্প সৃষ্টি হয়নি।
সভায় গোমতী নদীর বাঁধ সংস্কার কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কথা বলা হয়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, বাঁধের উপর গাছ-গাছালি থাকার কারণে ও গাছের শিকড়ের কারণে বারবার নদী ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।তার এ বক্তব্য অযৌক্তিক বলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মো: কবীর। তিনি বলেন, গাছের শিকড় মাটিকে আঁকড়ে রাখে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,এ বছরের শুরুতে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কাজ শুরু হলেও চাহিদা অনুযায়ী বই এখনও হাতে এসে পৌঁছায় নি।
বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আবেদ আলী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর রাশেদুল করিম, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন , সাংবাদিক মোতাহার হোসেন মাহবুব, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ সামসুজ্জামান,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমাসহ বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।