বাইরে হলুদ ভিতরে টকটকে লাল

আমোদ প্রতিনিধি।।

হলুদ রঙের তরমুজ। তবে ভিতরটা টকটকে লাল। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার
বলরামপুর গ্রামের মাঠে প্রথমবারের মতো চাষ করা হয়েছে। বলরামপুর গ্রামের
কাজী আনোয়ার হোসেন এই তরমুজ চাষ করেছেন। হলদে তরমুজ কিনতে ও
দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।

বৃহস্পতিবার বিকালে জমিতে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় ঝুলছে হলুদ ও কালো
রঙের তরমুজ। যাতে ছিঁড়ে না যায় তাই নেটের ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া
হয়েছে। হালকা বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে। হলুদ রঙের সাথে কালো
রঙের ব্ল্যাক সুইট- ২ তরমুজও চাষ করা হয়েছে। এখানে কৃষক মার্চ মাসের
২০ তারিখে চারা লাগিয়েছেন। খেতের পাশে ভিড় করেছেন বিভিন্ন
গ্রামের ক্রেতারা।

সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আনিসুর রহমান,
আতিকুর রহমান ও রবিন আহমেদ অনলাইনে হলুদ তরমুজ চাষের সংবাদটি
দেখেন। তিন বন্ধু এসেছেন তরমুজ কিনতে। তারা হলুদ তরমুজ কেজি দেড়শ’
ও কালো তরমুজ কেজি একশ’ টাকা দরে কিনেছেন। ব্যতিক্রম রঙ হওয়ায় তারা
এই তরমুজ কিনতে আসেন।

স্থানীয় কমলপুর গ্রামের মো.কামাল হোসেন বলেন, খেত থেকে হলুদ তরমুজ
কিনে খেয়েছেন। এই তরমুজ দেখতে সুন্দর এবং খেতেও মিষ্টি।

কৃষক কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, তরমুজ হলুদ হলেও এটির ভিতরে লাল ও
স্বাদে কড়া মিষ্টি। এবার ৬৫ শতক জমিতে তার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার
মতো খরচ হয়েছে। এক লাখ টাকার তরমুজ খেতেই বিক্রি করেছেন। আশা
করছেন আরো নয় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। আরো পরে বিক্রির
পরিকল্পনা থাকলেও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা,সামাজিক ব্যক্তিত্ব এসে
তরমুজ কিনতে অনুরোধ করছেন। তাই তাদের না করতে পারেননি। প্রতিদিন
তরমুজ কিনতে ও দেখতে মানুষ খেতে ভিড় করছেন।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বলেন, হলুদ তরমুজ
থ্যাইল্যান্ডের ইয়োলো কিং। আনোয়ার হোসেনকে প্রাকৃতিক উপায়ে
পোকা দমন প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান
বলেন, জমিটি পরিদর্শন করেছি। হলুদ তরমুজ চাষ কুমিল্লায় প্রথম। হলুদ
তরমুজের ভালো চাহিদা রয়েছে সে কারণে আনোয়ার ভালো দামও পাবেন।