বাকপ্রতিবন্ধী রাতুল যেভাবে কন্টেইনারে মালেয়শিয়ায়
প্রতিনিধি।
খালি কন্টেইনারে মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে উদ্ধার হওয়া কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাক প্রতিবন্ধী কিশোর রাতুলের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম ফারুক মিয়া। পেশায় তিনি দিন মজুর। ফারুকের ৩ ছেলে। রাতুল সবার বড়।
মালেশিয়ায় উদ্ধার হওয়া রাতুলকে প্রথমে রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হয়ছিলো। প্রতিবন্ধী রাতুল (১৪) অন্তত দুই মাস আগে বাড়ি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। তবে আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সাধারণ ডায়েরি কিংবা প্রচার প্রচারণার মত কাজ করতে পারেননি বাবা দিনমজুর ফারুক মিয়া।
ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে রাতুলকে শনাক্ত করেছি। আইনশৃংখলা বাহিনীর সহয়তা নিয়ে আমরা ছেলেটিকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আজ সন্ধ্যায় বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে পারবো।
রাতুলের চাচা আজগর আলী বলেন, রাতুলের পুরো নাম মোঃ রাতুল ইসলাম ফাহিম। দুইমাস ৭ দিন আগে হারিয়ে যায় রাতুল। জন্মগতভাবে রাতুল বাকপ্রতিবন্ধী। তাকে চিকিৎসক দেখানো হয়েছিলো। তারপর থেকে একটু কথা বলতে পারে। তবে কিভাবে সে চট্টগ্রাম গেলো এবং কন্টেইনারে করে মালেশিয়া পৌঁছালো এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য-চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২ জানুয়ারি ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে আটকা পড়েন রাতুল। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে শব্দ শুনতে পান নাবিকরা। এরপরই কেলাং বন্দরকে জানানো হয়। পরদিন বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে বাক প্রতিবন্ধী কিশোর রাতুলকে উদ্ধার করা হয়।