‘ বাজুসের উদ্যোগ জুয়েলারি ব্যবসায় মঙ্গল বয়ে আনবে ’

প্রতিনিধি।।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কুমিল্লা জেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার কুমিল্লা ক্লাব মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করা হয়। বাজুস কুমিল্লার সভাপতি আলহাজ¦ শাহ মো. আলমগীর খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য সচিব মো. জয়নাল আবেদীন খোকন, বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য উত্তম ঘোষ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য প্রণব সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাজুস কুমিল্লার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান। সভায় বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। বাজুসের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্যবসায়ীদের খুশি প্রকাশ করতে দেখো গেছে।
বক্তারা বলেন, আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। বাজুসের এমন উদ্যোগ ব্যবসায়ীদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনার দাম ৭৬ হাজার (২১ ক্যারেটের ভরি) টাকা বেঁধে দিয়েছে বাজুস। বাজুসের নির্ধারিত দামের বাইরে অনেকে সোনা বিক্রি করছেন। কুমিল্লায় ৮১ হাজার টাকায় সোনা বিক্রির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বেশি দামে বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার কম দামে বিক্রি করলেও ধরে নিতে হবে সমস্যা আছে। তারা কোয়ালিটি মেনটেইন করছেন না। গ্রাহক ঠকালে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বক্তারা বলেন, আমাদের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসে আসার উদ্দেশ্য হলো, এটাকে আন্তর্জাতিক মানদ-ে পৌঁছানো। কারণ তার বসুন্ধরা গ্রুপের ৪২টি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। সেখানে কেউ অনিয়ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আজকে এ জুয়েলারি শিল্পে অনেক উন্নতিসাধন হয়েছে। সায়েম সোবহান আনভীরের মতো সভাপতি পাওয়াতেই এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে। বাজুসে তার মতো ব্যক্তিকে পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাজুস বরুড়া উপজেলার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগরের সভাপতি স্বপন পোদ্দার, লাকসামের সভাপতি সুভাষ ভৌমিক, চান্দিনার সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খানসহ কুমিল্লা মহানগর ও অন্যান্য উপজেলার নেতৃবৃন্দ।