বাঞ্ছারামপুরে জমিতে কিশোরের মরদেহ : অটোরিকশা গায়েব

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
চৌদ্দ বছরের কিশোর শরীফুল ইসলাম। জীবিকার তাগিদে চালাতো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। আচমকাই হন নিখোঁজ। খুঁজেও সন্ধান মিলেনি তার। একদিন পর নিজ ইউনিয়ন এলাকার সড়কের পাশের ধানিজমিতে মিললো তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ। কিন্তু অটোরিকশাটির হদিস মিলেনি। পুলিশ লাশ পাঠিয়েছেন মর্গে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকার।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত কিশোর শরীফুল ইসলাম (১৪) তেজখালী ইউনিয়নের আকানগর গ্রামের বিলপাড় এলাকার এরশাদ মিয়ার পুত্র।পুলিশের ধারণা, দুূর্বৃত্তরা তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যার পর লাশটি নির্জন স্থানে ফেলে গেছে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় কিশোর শরীফুল। দুপুর গড়িয়ে যাবার পরও বাড়ি ফিরেনি, হন নিখোঁজ। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে কোনোই হদিস পায়নি শরীফুলের। টানা এক দিনের মাথায় মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে একই ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকার ধানিজমিতে ক্ষতবিক্ষত একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে অবহিত করেন। এরই মাঝে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি শরীফুলের বলে শনাক্ত করেন। কিন্তু তার অটোরিকশাটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে শরীফুলকে হত্যার পর লাশটি নির্জন স্থানে ফেলে যায়। সারারাত নির্জন স্থানে পড়ে থাকায় শেয়ালে কামড়ে লাশটি ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিপূর্বক ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজের পর মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে একটি জমিতে তার মরদেহটি পাওয়া যায়। তবে সাথে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটির পাওয়া যায়নি। তাকে হত্যার পর কোন এক সময় লাশটি ফেলে দিয়ে যায়। নির্জনস্থানে মরদেহটি পড়ে থাকায় সারারাত শেয়ালে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। অটোরিকশাটি উদ্ধার ও ঘটনা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করছে।’