অফিস রিপোর্টার।।
বারেরার চর। কুমিল্লার দেদ্বিার উপজেলা সদর নিকটবর্তী গোমতী নদীর চরের একটি এলাকা। এই চরে কয়েক মাস আগে বন্যায় কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়। পানি নেমে যাওয়ার পর তারা আবার নতুন করে স্বপ্ন বুনেন। এবার চরে শসার ভালো ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে খুশি স্থানীয় কৃষকরা। এই শসা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে বারেরার চর। নদীর বাঁধের ভেতরে ৫ হেক্টর জমি। সেখানে শসার সবুজ জমি। কেউ শসা তুলছেন,কেউ জমিতে পানি দিচ্ছেন। কেউ পাতা পঁচা থেকে রক্ষায় স্প্রে করছেন। নদীর চর, ঢাল ও পাড়ের এখানে সেখানে শসার স্তূপ। ৩-৫কেজি ওজনের সাথে ঝুলতে দেখা যায় বীজের হলুদ রঙের ৮-১০কেজি ওজনের শসা। ওজন শেষে পাড়ে কেউ পিকআপ ভ্যানে শসা তুলে দিচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন কৃষানিরাও। যেন পুরো এলাকা জুড়ে শসার উৎসব।
চাষি আনোয়ার হোসেন বলেন,তিনি প্রায় এক একর জমিতে শসা চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ২লাখ টাকার মতো। বিক্রি শুরু করেছেন। আশা করছেন ৫লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
চাষি রিমন হোসেন ও আরিফ হোসেন বলেন, এই চরে শসার আকার অনেক বড়। তিন থেকে পাঁচ কেজি। এই শসা কুমিল্লার নিমসার,সদর,চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যায়।
পাইকারি ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন,বারেরার চরের শসার চাহিদা রয়েছে। এ শসার স্বাদ ভালো। তাই বিক্রেতা ও ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই শসা।
উপ-সহকারী কর্মকর্তা এটিম রাশেদুজ্জামান সরকার বলেন,এখানে স্থানীয় জাতের শসা চাষ হয়। নিজেরা বীজ সংগ্রহ করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন,স্থানীয় সূত্রে জেনেছি এখানে ৩০বছর ধরে শসার চাষ হয়। এখানের চাষিরা অনেক পরিশ্রমী। তাই সফলতাও পান। আমরা তাদের কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকি।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com