বাল্কহেডের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে নদে, ৫দিনেও হয়নি উদ্ধার 

কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ১৫ বছর পুরনো সেতু ভেঙে পড়েছে। জেলার দাউদকান্দি উপজেলার কালাডুমুর নদে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেতুটির ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপরে পড়লে বাল্কহেডের কিছু অংশ নদীতে ডুবে যায়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত এ দুর্ঘটনার পাঁচ দিনেও কেউ উদ্ধার কাজ করেনি। যেকারণে বন্ধ আছে নৌপথ ও সেতুতে চলাচল।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় বাসিন্দা মতিন সৈকত ও স্থানীয় রায়পুর পোস্ট অফিসের মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা ঘটেছে আরও চারদিন আগে। ওইসময় থেকে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার বিকেল সন্ধ্যা ৬টা) ব্রিজের ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপর পড়ে আছে। এদিকে এই এলাকার প্রায় তিন হাজার মানুষের যাতায়াতের এই ব্রিজটির জন্য ভোগান্তির কুলকিনারা নেই।
স্থানীয় এই দুই বাসিন্দা জানান, দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারের পাশের কালাডুমুর নদের ওপর  দক্ষিণের ছান্দ্রা গ্রাম থেকে উত্তরের গলিয়ার চর ও চরচার পাড়সহ অন্তত পাঁচ গ্রামের যোগাযোগের ব্রিজ এটি।  সেতু ভেঙে পড়ায় প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে গৌরীপুর বাজার ও গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে যাতায়াত করতে হবে এইসব এলাকার বাসিন্দাদের।
সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে কালাডুমুর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে জিংলাতলি ইউনিয়নের কৃষক থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার মানুষের চলাচল। আবার নদের মধ্য দিয়ে চলতো নৌযান। এতে সেতুটিতে মালবাহী কার্গো ও বাল্কহেডের ধাক্কা প্রতিদিনই লাগতো। ধীরে ধীরে সেতুর অবস্থা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে।  মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের একটি বাল্কহেডটি ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ফিরছিল। খালি বাল্কহেডটি কালাডুমুর-গোমতী-মেঘনা নদী হয়ে গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে পৌঁছালে বাল্কহেডটি সেতুর মাঝখানের দিকের একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর মাঝখানের অংশ বাল্কহেডের ওপরে পড়ে। এসময় চালক ও তার তিন সহকারী সাঁতরে তীরে উঠে।
ফায়ার সার্ভিস দাউদকান্দি ইউনিটের স্টেশন মাস্টার মো. রাসেল বলেন, কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, যেহেতু ভেঙেছে বাল্কহেড তাই তারাই উদ্ধার কাজ করবে। প্রয়োজন হলে আমাদের ডাকবে। কিন্তু এখনও আমরা কোন মেসেজ পাইনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, ব্রিজটি মেরামতের সুযোগ নেই। তাছাড়া ব্রিজটি ডেমেজ হয়ে গেছে। এখানে নতুন আরেকটি ব্রিজ স্থাপনের জন্য সব কাগজপত্র রেডি করেছি।