বাসে ভুয়া র‌্যাব, প্রাইভেট কারে আরো চারজন!

প্রতিনিধি।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে সোমবার একটি বাস চলছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। নিজেকে র‌্যাব পরিচয় দেন এক যাত্রী। পাশের সিটের সবাই তাকে র‌্যাব সদস্য বলে সমীহ করছেন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। সত্যিকার অর্থে তিনি কোন বাহিনীতেই চাকরি করেন না। নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাকমন্ডপ বাজার এলাকার মো. আল শাহারিয়ারকে (৩০) গ্রেফতার করে হাইওয়ে পুলিশ। এসময় তার ব্যাগ থেকে র‌্যাব লেখা দুইটি কটি, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি, একটি খেলনা পিস্তল, একটি পিস্তল কভার এবং একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সে জানায়, পেছনে প্রাইভেট কারে আরো চারজন ভুয়া র‌্যাব আছে। হাইওয়ে পুলিশ ওই সময় মহাসড়কে ধাওয়া করে প্রাইভেট কারসহ আরেকজনকে আটক করে। বাকীরা পালিয়ে যায়।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, চেকপোস্টে বাসের যাত্রী আল শাহারিয়ারের ব্যাগ তল্লাশি করে। তল্লাশির সময় নিজেকে র‌্যাব পরিচয় দেয়া এই যাত্রী ভুয়া র‌্যাব সদস্য বলে নিশ্চিত হয় হাইওয়ে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, তিনিসহ আরো চারজন র‌্যাব পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা ও ডাকাতি করে। অপর চারজন প্রাইভেটকার দিয়ে কুমিল্লার নিমসারবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আসছে। এসময় হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ঢাকাগামী লেনে চেকপোস্ট স্থাপন করে। থামার সংকেত দিলে অমান্য করে পালিয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশ প্রাইভেটকারটির পিছু ধাওয়া করে। সেটি চান্দিনার মহারং গ্রামে ঢুকে পড়ে। এসময় প্রাইভেটকারসহ একজনকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতার হয়েছেন, যশোরের ঝুমঝুম বুট এলাকার মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ মনির (৪৭)। পলাতক আছেন, ফরিদপুরের মানিক (৩৫), নোয়াখালীর মোস্তফা (৪০), প্রাইভেটকারের চালক বরিশালের ইউনুছ (৫০)।
পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ সক্রিয় অবস্থানে আছে।