মাহফুজ না্টু।।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকার আত্মহত্যার প্রচারণার মামলার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলা প্রভাবিত করছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট জমা দেয়নি। বিচার নিয়ে শংকিত অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইলেন।
সোমবার কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম এই শংকা প্রকাশ করেন। এ সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে তাহমিনা শবনম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকতাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অবন্তিকার মামলার বিষয়ে উদাসীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মামলার আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আইনের যথাযথ ধারায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি। মামলাটি এখন ডিপ ফ্রিজে আছে। আমরা চাই মামলাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত হোক। এ মামলায় যারা আসামি তাদেরকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হোক। অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলাটিতে প্রভাব বিস্তার করছেন।
উল্লেখ্য, গেলো ১৫ মার্চ রাতে প্রক্টর দীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করে চিরকুট লিখে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন ফাইরোজ অবন্তিকা। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।