বিদায় অনুষ্ঠানে কয়েক কি.মি হেঁটে এসেছেন কৃষাণীরা


কৃষি অফিসারকে বিদায় সংবর্ধনা
প্রতিনিধি।।
কৃষি কর্মকর্তাকে বিদায় জানাতে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে এসেছেন কয়েকজন কৃষাণী। আবার ফিরেছেন সন্ধ্যার অন্ধকারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)কৃষিবিদ বানিন রায়ের অনুষ্ঠানে আসেন তারা। স্থানীয় আনন্দপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে এসেছেন কৃষাণীরা। রহিমা বেগম ও করিমন বিবি নামের দুই কৃষাণী জানান,আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্যারের পরামর্শ ও সহযোগিতায় সবজি লাগিয়েছে। ভালো আয় করেছি। তাকে কখনও স্যার মনে হয়নি। পরিবারের সদস্যের মতো আপনজন মনে হয়েছে। উপসহকারী কৃষি অফিসার সাহেদ হোসেনের নিকট শুনেছি তিনি বিদায় নিচ্ছেন। তাই তাকে বিদায় জানাতে এসেছি।

পাহাড়পুর বেলবাড়ি এলাকার মসজিদ বাড়িতে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তারু মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুড়িচংয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মোহাইমেনুল ইসলাম, দেবিদ্বারের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান, বুড়িচংয়ের সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মহসিন। বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মিজানুর রহমান, মো. সাহেদ হোসেন, কৃষি উদ্যোক্তা মো. ওমর ফারুক ও মো. ওমর খৈয়াম শাকুর।

বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)কৃষিবিদ বানিন রায় বিদায় সংবর্ধনার প্রতিক্রিয়ায় কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন,আসলে আমরা কিছুই করিনি। সব আপনারাই করেছেন। এতো ফুল আর ভালোবাসার যোগ্য আমি নই। আমরা হয়তো সাথে ছিলাম। আমাদের সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এসময় তিনি বীজ সংরক্ষণের জন্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন।

উল্লেখ্য- বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)কৃষিবিদ বানিন রায় তিন বছরের বেশি সময় এখানে দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন।