প্রতিনিধি।।
বিদেশি অজানা তেল খেয়ে দেশের অসংখ্য মানুষ নানা প্রকার জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশে উৎপাদিত ভোজ্য তেল ব্যবহারে বেশি বেশি উৎসাহিত করতে হবে। সে সাথে কৃষকদের আর্থিক বিষয়কে বিবেচনায় রেখে সরিষা, সূর্যমুখীসহ অন্যান্য তেলজাতীয় ফসলের ন্যায্য বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মুখরোচক আলু ভর্তা তৈরিতে এখনও সরিষা তেলের ঝুড়ি নেই। আমরা সবাই সচেতন হলে বাংলাদেশে তেল ফসলের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের(ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মশালায় তিনি এই কথা বলেন। ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালা মহাসড়কের পাশের একটি মিলনায়তনে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করে ভোজ্য তেলের আমদানি কমানো সম্ভব। তেলজাতীয় প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী কৃষকদের উৎসাহিত করে গত কয়েক বছর ধরে এখন পর্যন্ত দেশে অধিক হারে তেলজাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সরিষা, সূর্যমুখী ফসলকে কেন্দ্র করে দেশের বিপুল সংখ্যক যুবক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৌচাষ করছেন। মৌচাষীরা মধু উৎপাদনের সময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। সরিষা গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের কারণে বৃক্ষ নিধন হ্রাস পেয়েছে। সরিষার খৈল উৎকৃষ্টমানের পশু খাদ্য, মাছের খাদ্য এবং জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ডিএই সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. মতিউজ্জামান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাঞ্ছারামপুরের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট হোমনার অধ্যক্ষ ড. মোঃ সফি উদ্দিন। কী-নোট উপস্থাপন করেন, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মুহম্মদ আরশেদ আলী চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেন প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু তাহের। সঞ্চালনায় ছিলেন, ধান, গম ও পাটবীজ প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার ড. মো. আমানুল ইসলাম।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com