কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে ইমরান হোসেনকে (২১)  নির্যাতনের ঘটনায় থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

 রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন মিয়াজী ছেলে এছাক মিয়াজী (৫০) ও মৃত হাফেজের ছেলে মো. রুবেল (২৫)।

পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান শুক্রবার রাতে স্থানীয় তারাশাইল বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়  শহিদুর রেজা রতন মিয়াজী নেতৃত্বে একদল মানুষ  অস্ত্রের মুখে আটকে তাকে মারধর শুরু করে।

এ সময়ে তার চিৎকারে তার মা আফরোজা বেগম এগিয়ে আসলে ল তাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।  ইমরানকে মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মায়ের চোখের সামনে নির্যাতন শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে প্রায় রাত ৯টা পর্যন্ত এই নির্যাতন চলতে থাকে। নির্যাতনের একপর্যায়ে ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ফেলে যায়। আত্বীয়-স্বজন এসে ইমরানকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মসজিদের পাশের বাড়ির একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ শনিবারে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একই গ্রামের শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওসি আরো বলেন, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের এএসপি নুসরাত তাবাসসুম নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এছাক মিয়াজী ও মোঃ রুবেলকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।