প্রতিনিধি।।
মোবারক হোসেন। সবার নিকট পরিচিত ‘মোবারক স্যার’ নামে। কুমিল্লা নগরীর নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন। সেখানে ৪০বছর শিক্ষকতা করেন। স্কাউটের সাথে জড়িত ছিলেন। বিনয়ী শিক্ষক মোবারক হোসেন ছাত্র অভিভাবক সবার প্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসরে আসেন। এরপর পড়েন নানা অসুস্থতায়। হার্টে ব্লক,গলব্লাডারে ইনফেকশন ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ। নিজের সঞ্চয় শেষ করে ঋণ করতে থাকেন। প্রায় ১০লাখ টাকা ঋণ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিন কুমিল্লা শহরতলীর চাঁন্দপুর এলাকার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সরু গলিতে বাসা। সড়কে কাদাপানি। টিনসেটের বাসা। প্রবেশের রুমেও পানি জমে আছে। মাঝের রুমের বিছানায় পড়ে আছেন মোবারক হোসেন। শব্দ করে শ্বাস ফেলছেন। স্যালাইনের ড্রপ পড়ছে টপটপ করে। হাজারো শিক্ষার্থীর প্রিয় শিক্ষক অনেকটা নিথর হয়ে পড়ে আছেন।
মোবারক হোসেনের প্রতিবেশী আশরাফুল আলম অভি জানান,মোবারক হোসেনের এক ছেলে তিন মেয়ে। ছেলে পোষাক কারখানায় চাকরি করেন। কম বেতনে পরিবার চালানো কষ্টকর। সেখানে পিতার ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা কঠিন।
মোবারক হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম। স্বামী ও পরিবারের দুরাবস্থার কথা বলতে গিয়ে তিনি ঢুকরে কেঁদে উঠেন। কান্না থামিয়ে ধরা গলায় তিনি বলেন,তার স্বামী কয়েক বছর নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তবে গত দুই মাস আগে বিছানায় পড়ে যান। তার কথাও বন্ধ হয়ে যায়। শরীর হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রেখেছেন। প্রায় দিন স্যালাইন দিতে হয়। আর পারছেন না। অনেক ঋণ হয়ে গেছে। এক ছেলের আয়ে পরিবারের খাবার জোগাতে কষ্ট হচ্ছে। এখন ভালো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা পেলে তাকে ভালো চিকিৎসা দিতে পারতেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কুমিল্লা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন,তাকে আমরা আগেও কিছু সহযোগিতা করেছি। তাকে আরো সহযোগিতার চেষ্টা করবো।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com