প্রতিনিধি।।
বিনা ধান ২৫ বাসমতির মত চিকন ও লম্বা, খেতে সুস্বাদু। সেচ, সার কম ব্যবহার করেও কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায়। অন্যান্য ধানের তুলনায় রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। এ ক্ষেত্রে বিনা ধান২৫ স্বল্পজীবনকালীন হওয়ায় একই জমিকে চার ফসলে রুপান্তর করা সম্ভব। এ ধান বোরো মৌসুমের সেরা ধান।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), উপকেন্দ্র কুমিল্লা আয়োজিত কৃষক প্রশিক্ষণে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার প্রশিক্ষণ হলে বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় বিনা ধান ২৫ এর জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল শীর্ষক এ কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা আরো বলেন, প্রতিবছর বিভিন্নভাবে ১ ভাগেরও বেশি হারে ফসলী জমি হ্রাস পাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন নতুন আবাসন, রাস্তা, ব্রিজ, মিল ফ্যাক্টরি গড়ে ওঠার ফলে এসব জমিগুলো চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে। অপরদিকে প্রতিবছর জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এ বিশাল জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মিটানোর জন্য অল্প জমিতে বেশি ফসল উৎপাদন, এক ফসলী জমিকে দুই ফসলী, দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলী, তিন ফসলী জমিকে চার ফসলের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বিনাধান২৫ অন্যন্য ভূমিকা রাখবে বলেও তারা দাবি করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো.শহিদুল ইসলাম, বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাকিনা খানম। বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার উপপরিচালক কৃষিবিদ আইউব মাহমুদ, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফাহমিনা ইয়াসমিন, ধান, গম ও পাটবীজ উৎপাদন বিতরণ প্রকল্প মনিটরিং অফিসার ড. মো. আমানুল ইসলাম,তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবু তাহের।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com