মহিউদ্দিন মোল্লা।।
বৃহত্তর কুমিল্লা তথা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবড়িয়া ও চাঁদপুর এলাকায় সেচ এলাকা বেড়েছে ২৬হাজার ৯৩ হেক্টর জমি। এতে ফসল উৎপাদন বেড়েছে ১লক্ষ ৩৪হাজার ৬৯৫ মেট্রিক টন। এর বাজার মূল্য প্রায় ৪০০কোটি টাকা।
কুমিল্লায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চাঁদপুর জেলা সেচ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্সের সেমিনার কক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে আরো জানানো হয়,তিন জেলার ৩৪ উপজেলার ৬১৫ কিলোমিটার খাল প্রকল্পের আওতায় খনন করা হয়। খাল খননের পাশাপশি ব্যারিড পাইপ স্থাপনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সব জমি সেচের আওতায় আনা হয়। এক ফসলী জমিকে দুই এবং দুই ফসলী জমিকে তিন ফসলীতে পরিণত করা হয়। এদিকে এখনো ৩জেলার ১৫ভাগের বেশি জমি সেচ আওতার বাইরে রয়েছে। এগুলো সেচের আওতায় এলে ফসল উৎপাদন আরো বাড়বে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএডিসি’র ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্পের সদস্য পরিচালক প্রকৌশলী সুলতান আহমেদ। বিএডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (নির্মাণ) স্বপন কুমার হালদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চাঁদপুর ক্ষুদ্রসেচের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন বিশেষ অতিথি বিএডিসি ক্ষুদ্রসেচের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দ্র নারায়ণ গোপ। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সুজিৎ কুমার বিশ^াস,বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.একেএম আদহাম,নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান রুবেল। আরো বক্তব্য রাখেন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার প্রশিক্ষণ অফিসার সিরাজ উদ্দিন হোসেন,কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ওবায়দুল্লাহ কায়সার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (সংস্থাপন ও উন্নয়ন) শাহনাজ রহমান,দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় ও কৃষক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চাঁদপুর জেলা সেচ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে সেমিনারে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com