প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় বেশি ফলনের নতুন সরিষায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। জেলার বুড়িচং উপজেলায় প্রথমবারের মতো ১০ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা-১৮ চাষ হয়েছে। বারি সরিষা-১৮ বর্তমান সময়ে উচ্চ ফলনশীল সরিষা জাত গুলোর মধ্যে সর্বাধিক ফলন ও গুণগত মান সম্পন্ন তেল সমৃদ্ধ জাত বলে অভিমত কৃষি কর্মকর্তাদের। ক্যানোলা ধরণের এই জাতটির তেলে ক্ষতিকারক ইউরোসিক এসিডের পরিমাণ ০.৫ শতাংশেরও কম। যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বুড়িচংয়ের আবিদপুর,দেবপুর ও পাহাড়পুরের মাঠে এই সরিষা ফাগুনের বাতাসে দোল খেতে দেখা গেছে। বারি সরিষা-১৮ থেকে ভালো ফলন হবে বলে খুশি স্থানীয় কৃষকরা। দেবপুরের মো. আমিন মিয়া ও পাহাড়পুরের ওমর ফারুক বলেন, অন্য সরিষা বিঘায় ৬মণ হতো। বারি সরিষা-১৮ এই জাতটির সর্বোচ্চ ফলন হতে পারে বিঘা প্রতি ৮-৮.৫ মণ। তাই এ জাতটি করেছি। কৃষি অফিস বীজ ও পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছে।
বুড়িচং উপজেলার সদ্য সাবেক কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ৭২ কেজি বীজ সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, কুমিল্লা থেকে নিয়েছি। মৌসুমের শুরুতে জমি নির্বাচন করে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ের উপসহকারি কৃষি অফিসারদের তৎপরতায় পরিকল্পনাটির সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ফসল উঠতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন,আলাদা করে বারি সরিষা-১৮ তেল হিসাবে বাজারজাতকরণ এখনো শুরু হয়নি। কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে এই সরিষা সংগ্রহ করা যেতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উৎপাদনকারী কৃষকদের তথ্য পাওয়া যাবে। বর্তমানে সরিষা ভাঙ্গানোর তেলের মিল অনেকটা সহজলভ্য। ২০ কেজি সরিষা ভাঙ্গানো হলে ৭-৮ লিটার তেল পাওয়া যায়, যা একটি ছোট পরিবারের দেড় থেকে দুই মাসের তেলের চাহিদা মিটবে। যেহেতু কোন প্রিজারভেটিভস ব্যবহার করা হবে না সেহেতু অল্প অল্প করে ভাঙ্গানো উত্তম। ভাঙ্গানোর আগে সরিষা ধুয়ে শুকিয়ে নিলে ভালো তেল পাওয়া যাবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com