আমোদ রিপোর্টার
বৈরুত বিস্ফোরণে নিহত কুমিল্লার রেজাউলের পরিবারে আহাজারি চলছে। লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মনির শিকদারের ছেলে রেজাউল আমিন শিকদার। থাকতেন বৈরুতের বন্দর সংলগ্ন ডাউনটাউন এলাকার আলভোর শহরে, কাজ করতেন একটি পেট্রোল পাম্পে। আনুমানিক চার বছর আগে বৈরুত নিয়ে যান তার ছোট ভাই মাহবুব শিকদার কেও। মাহাবুব আলাইয়া এলাকায় থেকে পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন।
বৈরুতে রেজাউলের এক মামা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের জসিমউদ্দীনও থাকেন। জসিমউদ্দিন বুধবার দিন গত গভীর রাতে বৈরুত থেকে পরিবারের নিকট ফোন করে রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। কৃষক পরিবারের সন্তান রেজাউল দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িতে পাকা ঘর তৈরি করেন। দুই বোন তিশা আক্তার ও লিমা আক্তারকে বিয়ে দেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটিতে এখন চলছে শুধুই কান্না।
[caption id="attachment_1158" align="aligncenter" width="1019"] বিজ্ঞাপন[/caption]
রেজাউলের চাচাতো ভাই সেলিম শিকদার জানান, বন্দর এলাকা থেকে দূরে অবস্থানের কারণে অক্ষত থেকে যায় ছোট ভাই মাহবুব শিকদার। বড় ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে বৈরুতের বাসায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ভাই মাহবুব । সাথে থাকা মামা জসিমের কোন সান্ত¦নাই শান্ত হচ্ছেন না মাহবুব।
রেজাউলের পিতা মনির শিকদার জানান, বিস্ফোরণে রেজাউলের মামা জসিমউদ্দিনের এক ভাতিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের রাসেলও মারা যান। মনির শিকদার তার ছেলে রেজাউল আমিন শিকদারের লাশ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের নিকট দাবি জানান।
[caption id="attachment_1154" align="aligncenter" width="1015"] বিজ্ঞাপন[/caption]
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী নেয়া হবে।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com