আমোদ ডেস্ক।।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২ নভেম্বর, কলকাতায়। ১৯৫৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ সালে অর্জন করেবার-অ্যাট-ল ডিগ্রি।
১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে বারের সদস্য হন রফিক-উল হক। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে যোগ দেন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ভর্তি হন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন তিনি। ১৯৯০ সালে তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিযুক্ত হন। একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।
২০০৬-০৮ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওইসময় তিনি তাদের দু’জনের পরামর্শক হলে দেশব্যাপী প্রশংসিত হন।
২০১১ সালে স্ত্রী ডা. ফরিদা হককে হারিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন দেশবরেণ্য এই আইনজীবী। এরপর থেকে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভারই তার দেখাশোনা করেন।
২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। মাঝেমধ্যে পায়ে ব্যথা হওয়ায় সে কারণে হুইলচেয়ারে যাওয়া-আসা করতেন। পুরানা পল্টনের ছায়াশীতল, নিরিবিলি বাড়িতেই থাকতেন বেশিরভাগ সময়। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া আদালতেও তেমন যাননি।
[caption id="attachment_4382" align="aligncenter" width="725"] ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বর্ণাঢ্য জীবন[/caption]
আলোচিত বিভিন্ন মামলায় লড়ার কারণে আদালত প্রাঙ্গণের এক পরিচিত মুখ বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় তিনি তাদের দু’জনেরই পরামর্শক ছিলেন
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর মগবাজারস্থ আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com