ব্রাহ্মণপাড়ার ইউএনও’র বদলির আদেশ প্রত্যাহারে স্মারকলিপি

প্রতিনিধি।
কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানার বদলির আদেশ প্রত্যাহার চান মুক্তিযোদ্ধারা। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইউএনওর বদলির আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। এ সময় অর্ধশত বীরমুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।

 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ইউএনও সোহেল রানা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর উপজেলার চেহারা পাল্টে গেছে। উপজেলার সিদলাইতে একশ’ বছর ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছিলো। খুন হন শতাধিক মানুষ। ইউএনও সোহেল রানা সেই দ্বন্দ্ব নিরসন করেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে করে দিয়েছেন শান্তি চুক্তি। এখন আর সংঘর্ষ ও খুন হয় না। জেলার শীর্ষ মাদক জোন ছিলো ব্রাহ্মণপাড়া। তার তৎপরতায় মাদকের ভয়াবহতা কমে গেছে। মাত্র ১৭ মাস কর্মসময়ে ইউএনও সোহেল রানা উপজেলার স্কুল কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। এই মানুষটা যদি এখন চলে যায় আমরা খুব ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আমরা চাই আরও কিছুদিন তিনি আমাদের মাঝে থাকুক।

 

বীরমুক্তিযোদ্ধা নোয়াব মিয়া বলেন, তাকে (ইউএনও) কেন এত তাড়াতাড়ি বদলি করলো বুঝি না। আজ তিনি মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান করছে বলেই উনাকে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে বদলি করা হচ্ছে। এটা অন্যায়। আমরা প্রয়োজনে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যাবো। আমরা এই বদলির আদেশ প্রত্যাহার চাই।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা উসমান গনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন ইউএনও সোহেল রানা সেভাবেই আমাদের উপজেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার এত সুন্দর কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই বদলির আদেশটা আমাদের মন ভেঙ্গে দিয়েছে।
এদিকে স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সোহেল রানা ইউএনও হিসেবে বেশ ভালো করেছে। তার অনেক সুনাম আছে। তার বদলি যেন প্রত্যাহার করা হয় সে জন্য ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। আমরা বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে জানাবো। কারণ বদলি বিষয়টি বিভাগীয় অফিস থেকে হয়।