এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
বিষ্ফোরক ও নাশকতার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা ডা. আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-৯ এর সদস্যরা শহরতলী ঘাটুরাস্থ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরাও উপস্থিতি ছিলেন। পরে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয় বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ডা. আবু সাঈদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। গত ২৬ জুন সর্বশেষ ঘোষিত জেলা কমিটিতে তিনি এই পদ লাভ করেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া তিনি খেলাঘর'র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিষ্ফোরণ ও নাশকতার দায়ে গত ২৫ অক্টোবর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। মামলায় জেলার সাবেক দুইমন্ত্রীসহ ২৪০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার ২৩ নম্বর আসামী ডা. মো. আবু সাঈদ। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট সকালে সরকার পতনের একদফা দাবী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শহরের দিকে যাওয়ার সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্যাডার বাহিনী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ককটেল, হাত বোমাসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা করে ছাত্র-ছাত্রীদের আহত করে। এসময় ছাত্র-জনতাসহ এলাকার সাধারণ মানুষ তাতে বাঁধা দিলে আসামীরা শত শত ককটেল ও হাত বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে। এ সময় মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ক্ষতিসাধন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃত ডা. আবু সাঈদ'র বিরুদ্ধে দু'টি মামলা রয়েছে। ৪ আগস্ট সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত পরের দিন সোমবার শুনানির দিন ধার্য্য করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। অন্য আরেকটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।'