ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলার বিরোধে ১৫ বাড়িতে হামলা

inside post
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ফুটবল খেলার ঝগড়াকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫ টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষীয় লোকেরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সিন্দুরউড়া গ্রামে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক, মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
হামলার শিকার হওয়া লোকজন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় কালিসীমা খেলার মাঠে ফুটবল খেলা নিয়ে সিন্দুরউড়া গ্রামের উম্মত আলী গোষ্ঠীর সোহেল মিয়ার ছেলে মুস্তাকিমের সাথে একই গ্রামের কিমুদ্দির গোষ্ঠীর নেতা ও সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজমের চাচাতো ভাই আতাউল্লার বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে যুবলীগ নেতা আলী আজমের নির্দেশে ৪০/৫০ জনের একটি দাঙ্গাবাজ বাহিনী দা, লাঠি, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উম্মত আলী গোষ্ঠীর সাবেক মেম্বার কুদ্দুস মিয়া, সোহেল মিয়াসহ ওই গোষ্ঠীর অন্তত ১৫ টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে এলোপাথারি কোপানোসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, গবাদি পশুসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে আবারও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট চালায় কিমুদ্দির গোষ্ঠির লোকেরা। দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনার পর থেকে ওই গোষ্ঠীর পুরুষরা বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট চালানোর বিষয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম জানান, ‘হামলার বিষয়টি মিথ্যা। বরং ওই গোষ্ঠীর লোকজন আমার ভাইসহ পাঁচজনের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সবুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরবর্তী অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
আরো পড়ুন