এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। বাকি দু’টি আসনে হেভিওয়েট দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন। রোববার রাতে তিনি এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
রোববার সকাল আটটা থেকে চারটা নাগাদ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিকে নির্বাচন শেষ হবার অল্প কিছু সময় পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন। বিকেল চারটার পর শুরু হয় ভোট গণনা। এরপর গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা একে একে ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী জেলার ছয়টি আসনের চারটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং অপর দু’টিতে হেভিওয়েট দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কলারছড়ি প্রতীকের আলহাজ্ব সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘােষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের ৭৯ টি কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। কলারছড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এম.পি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ১৩২ টি কেন্দ্রের সবক'টির ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন কলাছড়ি প্রতীকে ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে ১৯২টি কেন্দ্রের সবক'টির ফলাফলে আওয়ামী লীগের র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি এক লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের ১১৮টি কেন্দ্রের সবক'টির ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি দুই লাখ ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান আম প্রতীকে পেয়েছেন ছয় হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ১৪৯ টি কেন্দ্রের সবক’টির ফলাফলের মধ্যে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান বাদল এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মোবারক হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৩৭৮ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ৯১ টি কেন্দ্রের সবক'টির ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্যাপ্টেন (অব.) এ.বি তাজুল ইসলাম এম.পি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৮১৭ ভোট।