প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২৫, ১১:০৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটে দুই ব্রিজের সংযোগস্থল দখল

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিতাস নদী ও টাউন খালে ঢাউস সাইজের দুই ব্রীজ। গোড়া থেকেই বিপরীতমুখী দুই সড়ক। অপরিকল্পিত দোকানপাট, অবৈধ পার্কিংয়ে সংযোগস্থলটিই বেদখল। বিপদজ্জনক অবস্থা। বেদখলিপনায় এক ব্রীজ থেকে আরেক ব্রীজের যানবাহনের উঠানামাও দেখা যাচ্ছেনা, বাড়াচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সেতুর গোড়াতেই দিনভর থাকছে যানজট। এলাকাবাসী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলা প্রশাসকের। এহেন অরাজক চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সাথে নবীনগরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে সম্প্রতি তিতাস নদীর ওপর একটি দীর্ঘ সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতুটির উত্তর পাশের এপ্রোচ আর পশ্চিম পাশে টাউন খালের উপর নির্মিত ব্রীজের ঢালু একই জায়গায়, আমিনপুরে মিলেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই ব্রীজের গোড়ার ওই জায়গা রিকশা, সিএনজি, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলের পার্কিংস্থল হয়ে উঠেছে। আর এ কারণে স্থানীয় এলাকার মানুষকে আমিনপুর গ্রামে ঢুকতে গিয়েও পোহাতে হচ্ছে ঝামেলা। তাছাড়া দুটি ব্রীজের গোড়াতে অবৈধভাবে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। টাউন খালের উপর নির্মিত ব্রীজের উপরে এবং পশ্চিমপাশের মুখে ইজিবাইক এবং রিকশা পার্কিং করছে। এতে সদর এবং নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত হয়ে ওঠেছে অতিশয় দুর্ভোগপূর্ণ। এদিকে নতুন সেতুর উত্তর পাশের এপ্রোচের ব্লক এরইমধ্যে খুলে পড়ছে।
স্থানীয় গোকর্ণঘাট গ্রামের বাসিন্দা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনিছুর রহমান জানান, 'তিতাস নদীতে সেতু নির্মিত হওয়ার পর নবীনগরের কুড়িঘর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে হাওরের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। ফলে অনেক যানবাহনের চাপ রয়েছে। তাছাড়া সদর উপজেলার সাদেকপুর হয়ে নবীনগর যাওয়ার রাস্তা দিয়েও চলাচল করে শত শত যানবাহন। কিন্তু ব্রীজ দুটির গোড়ার এই অরাজক অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে এবং সৃৃৃৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। মানুষ চলাচল করতে পারছেনা।' আমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা রুবেল জানান, 'আমাদের গ্রামে প্রবেশের মুখেই রিকশা-সিএনজি পার্কিং করে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে এক আবেদনে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, যানবাহনের নির্বিঘ্ন চলাচলে সেতু দুটির ঢালুতে গোলচত্বর বা আলাদা লেন এবং যাত্রী ছাউনি করার দাবী জানানো হয়েছে।'
মোবাইল: ০১৭১৭-৯১০৭৭৭
ইমেইল: newsamod@gmailcom
www.amodbd.com